শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী হওয়া ঠেকাতে নর্থ সাউথে নতুন নীতি

ঢাকা: নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় প্রমাণও মিলেছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার দিকেই আঙ্গুল তুলছেন অনেকে। এমনকি সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাও সেদিকে ইঙ্গিত করছেন।

এই দুর্নাম ঘোচাতে নতুন নীতি চালু করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

জানা গেছে, এখন থেকে কোন শিক্ষার্থী এক সেমিস্টার অনুপস্থিত থাকলে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলাল আহমেদ বাংলামইলকে বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে। আমাদের এখানে আমেরিকান কারিকুলাম অনুযায়ী পর পর দুই সেমিস্টার অনুপস্থিত থাকলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে অটোমেশন সিস্টেমে শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। এ পদ্ধতিতে চলে আসছিল। আজকের মিটিংয়ে আমরা ঐ সিস্টেমটাকে আরো বেশি কার্যকর কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। দুই সেমিস্টারের জায়গায় এক সেমিস্টার করলে কী হয়? এ বিষয়ে আলোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এক সেমিস্টারে কেউ বিনা নোটিশে অনুপস্থিত থাকলে তার ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এর পরবর্তীতে যোগাযোগ না করলে স্থায়ীভাবে বাতিল হবে।

একই বিষয়ে সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কোনো শিক্ষার্থী ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।

অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে চাই। সন্তানদের রক্ষা করতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্ট এবং শোলাকিয়ার ঈদগাহের প্রবেশ পথে আক্রমণের যে ঘটনা ঘটে তাতেও উঠে এসেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের নাম। হলি আর্টিসানের ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন হাসনাত করিম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। ২০১২ সালে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকেসহ তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি ছাত্র ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিকবার এমন অভিযোগ এসেছে।

কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এতোদিন চুপচাপ থাকলেও এবার নড়েচড়ে বসেছে।

এদিকে রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিমও বলেছেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কী পড়ানো হয় এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হবে।

এবং বলতে গেলে মন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারির পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button