রাজনীতি

সিন্ডিকেটের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় -মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য দফায় দফায় সরকার বিদ্যুতের মূল্য বাড়ায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। কমিশন ভাগাভাগি বন্ধ করলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আইনে আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে দাবি করে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, গতকাল কেবিনেটে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াতে পারবে’। এটা আগে ছিল একবার। এই আইন সংশোধনের মানেই হচ্ছে একাধিকবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াবে সরকার, বলেন সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম আমাদের সরকারের সময় যেমন গড়ে আড়াই টাকা ছিল, তেমনই থাকতো। কিন্তু জনগণকে শোষণ করে সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে, টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এটা করছে আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য।

তার অভিযোগ, কুইক রেন্টাল করে এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। গতবার কুইক রেন্টালগুলো উৎপাদন না করলেও ভাড়া দিতে হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এবছর দিতে হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগকে নিন্দা জানান এই বিএনপির নেতা।

সরকারের প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতায় আছে। স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট কায়দায় সরকার চালাচ্ছে। জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নাই। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া করে দিয়েছে।

সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে ড. মোশাররফ জানান, গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না সিটি ভোটে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে ইসি ও সরকার। আশা করি না, নিরপেক্ষ করতে পারবে।

Back to top button