অর্থ-বাণিজ্যশেয়ারবাজার

১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড চায় ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্চেন্ট ব্যাংক এবং স্টক ডিলারদের স্বল্প সুদে সিকিউরড ঋণের ব্যবস্থা করতে ১০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে সুপারিশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে ১০ হাজার কোটি টাকার এ তহবিল গঠনের জন্য ডিএসইর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এর আগে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত অক্টোবরে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা অর্থের জোগান চাওয়া হয়।

শেয়ারবাজার চাঙা করতে স্বল্প সুদে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের পক্ষ থেকে এ অর্থ চাওয়া হলেও এতদিন ডিএসই এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে। তবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে ডিএসই আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের পক্ষে অবস্থান নিল।

এ বিষয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, বাজারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক এবং স্টক ডিলারদের স্বল্প সুদে সিকিউরড ঋণের ব্যবস্থা করা জরুরি। এ বিষয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, আমরা সে প্রস্তাবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। এ অর্থ একটি নির্দিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয়ে বিনিয়োগ করা যাবে এবং যেখান থেকে শুধু মুনাফা উত্তোলন করা যাবে।

১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর কাছে ডিএসইর পক্ষ থেকে একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে-গ্রামঢুফোন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসন, বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি গঠন, অডিট রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা, সরকার ও বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা, টি-বন্ডের লেনদেন চালু করা, ডিএসই ও পুঁজিবাজারের লেনদেনের ওপর কর কমানো এবং আইসিবি ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবির পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেছে ডিএসই।

Back to top button