ডিএনসিসির ক্র্যাশ প্রোগ্রামে চললো না মেশিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিউলেক্স, এডিসসহ মশা নিধনে বছরের প্রথম ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কার্যক্রমের উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও চালু হয়নি নতুন দু’টি ভেহিক্যাল মাউন্টেন্ড ফগার মেশিনের একটি।
শনিবার রাজধানীর মিরপুর পুলিশ কনভেনশন হলের পেছন থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।
এ সময় মশক নিধনে প্রথমবারের মতো ব্যবহার হতে যাওয়া নিয়মিত ফগার মেশিনের পাশাপাশি ২০টি করে হুইল ব্যারো এবং মিস্ট ব্লোয়ার পাওয়ার স্প্রে ও দু’টি ভেহিক্যাল মাউন্টেন্ড ফগার মেশিন আনা হয়।
এগুলোর মধ্যে ভেহিক্যাল মাউন্টেন্ড ফগার মেশিন দু’টি চালু করতে গেলে শুরুতেই বাঁধে বিপত্তি। চালু হচ্ছিল না মেশিন দু’টি। বরং দু’টি মেশিনের ব্যারেলের মুখ থেকে বিপজ্জনকভাবে বের হচ্ছিল আগুনের স্ফুলিঙ্গ। এক পর্যায়ে একটি মেশিন চালু হলেও দ্বিতীয় মেশিনটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষ হলেও আর চালু হতে দেখা যায়নি।
মেশিন দু’টিতে ওষুধ প্রয়োগের কাজে নিয়োজিত এক মশক কর্মীর কাছে সমস্যা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো এমনই। কখনও চালু হয়, আবার হয় না। তবে এসব মেশিন ব্যবহারের আগে তারা প্রশিক্ষণ পায়নি বলেও জানান এ কর্মী। তিনি বলেন, এসব মেশিন চালানোর আগে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি আমাদের। যদি কিছু কাজ জানতাম, তাহলে তো বুঝতাম কেন চলছে না। পারলে নিজেই ঠিক করে নিতাম।
এদিকে একটি মেশিন চললেও সেটির খানিক ওষুধ প্রয়োগের পরেই ব্যারেল নল থেকে বিপজ্জনকভাবেভাবে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হতে দেখা যায়। তবে সেটিকে যন্ত্রের কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, মেশিনগুলো একটু এরকমই। প্রথমে চালু হতে কখনও কখনও সময় নেয়। তবে চালু হবে। আর যদি কোনোটা চালু নাও হয়, তাহলে এর ওয়ারেন্টি আছে। ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এটিকে যাদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে, জার্মানির সুইং ফগ, তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি কথাটা ঠিক না। আমাদের ১০টি অঞ্চলের প্রতিটিতে পাঁচজন করে অর্থ্যাৎ প্রতিওয়ার্ড থেকে একজন করে কর্মীকে এ মেশিন চালানোয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ ওই যন্ত্রটি যিনি চালাচ্ছেন, তিনি হয়তো প্রশিক্ষণ পাননি।
অন্যদিকে ব্যারেলে আগুনের স্ফুলিঙ্গ হলেও তা ‘বিপজ্জনক নয়’ বলে দাবি করে ডিএনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোস্তফা সরওয়ার বলেন, এটা এমনই, আগুন জ্বলবে। ডিজেলে চলে তো। তবে এ আগুন বিপজ্জনক না। ব্যারেল হাত দিয়ে ধরলে পুড়ে যাবে। তবে ব্যারেল কিন্তু ৩৬০ ডিগ্রি বা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে না। সামান্য একটু ঘুরতে পারে। তাই এর থেকে বিপদ নেই।