জাতীয়

দেশে বনভূমির পরিমাণ সাড়ে ১৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বনভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বলে দাবি করেছেন পরিবেশ, বন ও পানিবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বায়ুর মান গত তিন বছরেই বেশি খারাপ হয়েছে। রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দুই সংসদ সদস্যের করা পৃথক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূখ-ের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা। বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সদস্য (এমপি) এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দেশের বনভূমির আয়তন প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট ভূখ-ের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বন অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো বিরানভূমি নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় জবরদখল রয়েছে। কিছু বনভূমি অবক্ষয়িত হয়েছে।

ফরিদপুর-১ আসনের সদস্য (এমপি) মনজুর হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বায়ুমানের ডাটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিন বছর বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে। এ সময় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে।

শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে বায়ুর গুণগত মান পরিমাপ করা হচ্ছে। অন্যান্য দূষক যেমন: সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড ইত্যাদি সারাবছর মানমাত্রার মধ্যে থাকে। বায়ু দূষণের উৎস হিসাবে যানবাহন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম, পৌরবর্জ্য ও বায়োমাস পোড়ানো এবং ট্রান্সবাউন্ডারি প্রভাবকে দায়ী করা হয়।

বরিশাল-২ আসনের সদস্য (এমপি) শাহে আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বন্ধে সরকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ, জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরের বাজার কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তারা পলিথিন ব্যবহারে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে মর্মে উল্লেখ করে এর বিকল্প বাজারে সরবরাহের দাবি জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পলিথিন ‘সোনালী ব্যাগ’ আবিষ্কার করেছেন। প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পূর্ণ ব্যবহার করার উদ্যোগটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Back to top button