জাতীয়

মধ্যবিত্তদের জন্য নেই কোনো সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহাসঙ্কটে রয়েছে মধ্যবিত্তরা। বাংলাদেশে অবস্থা আরো শোচনীয়। শেয়ার থেকে চাকরির বাজার কোথাও তাদের জন্য সুখবর নেই। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগের একটি বড় অংশ মধ্যবিত্তদের। উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈষম্য। এরও সবচেয়ে বড় শিকার মধ্যবিত্ত। নাজুক মধ্যবিত্তের জন্য বাড়তি সংকট হিসেবে যোগ হয়েছে দ্রব্যমূল্য। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনীতিতে যখন টানাপড়েন চলে তার প্রথম শিকার হয় মধ্যবিত্ত। এরমধ্যে দুই ভাগ লোক হয়তো দেখা যায় মধ্যবিত্ত থেকে উচবিত্ত হয়ে যায়। কিন্তু ১০ ভাগ লোক মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত হয়ে যায়। আমাদের অর্থনীতি কে কীভাবে চালায় তা পরিষ্কার নয়। বিনিয়োগ নেই, চাকরি নেই। চাকরি হছে মধ্যবিত্তের টিকে থাকার প্রধান অবলম্বন। যে কারণে মধ্যবিত্তের বড় অংশ হতাশায় ঋণগছে। মধ্যবিত্ত সবসময় নিরাপত্তা খোঁজে। সে যে স্বল্প পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করে তা ব্যাংকে জমা রাখে। কিন্তু এখন ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা কমে যাছে। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত বড়ধরনের সংকটের মুখে।

বিআইডিএস’র এক গবেষণা অনুযায়ী মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার। এতে দেখা যায়, শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে সম্পূর্ণ বেকার ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। বাকিদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ সার্বক্ষণিক চাকরিতে, ১৮ দশমিক ১ শতাংশ খ-কালীন কাজে নিয়োজিত। এই অবস্থায় চাকরি যেন এখন রীতিমতো সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। বিসিএস বা কোনো সরকারি চাকরি হলেতো কথাই নেই। কয়েকটি পদের বিপরীতে কয়েক হাজার দরখাস্ত পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। প্রায় প্রতি ছুটির দিনেই চাকরি পরীক্ষায় লম্বা লাইন দেখা যাছে। বছর কয়েক আগে বিআইডিএস’র এক জরিপে বলা হয়েছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ৪৮.৪ ভাগ বেসরকারি চাকরি করে। সরকারি চাকরি করে ২০ শতাংশ, ২২ শতাংশ ব্যবসা করেন। দেশে গত কয়েক বছরে সরকারি চাকরিতে সুযোগ সুবিধা যেভাবে বেড়েছে বেসরকারি চাকরিতে তেমনটা ঘটেনি। এতেও মূলত বঞ্চনার শিকার হছেন মধ্যবিত্ত। বাংলাদেশে একদিকে উন্নয়ন হছে অন্যদিকে বাড়ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। গত বছর প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ধনী-গরিবের বৈষম্যে তৈরি হয়েছে রেকর্ড।

Back to top button