জাতীয়

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার বেশি টাকা কাটছে

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: নগরের কোতোয়ালীর আসকারদীঘির পাড় এলাকার আহমেদ রওশন নিবাসের বাসিন্দা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। লোকসংখ্যা ৫ জন।

তিনি জানালেন, বাসায় তিনটি ফ্যান, দুটি ফ্রিজ ও একটি এসি মাঝে-মধ্যে চলে। আগে যেখানে দেড় থেকে দুই হাজারের মধ্যে বিল আসতো, এখন প্রি-পেইড মিটারে মাসে ৩ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, মাসের শুরুতে এক হাজার টাকা রিচার্জ করলে ৩০০ টাকা কেটে ফেলে। ৫০০ টাকা রিচার্জ করলে কোনো সময় ১০০ আর কোনো সময় এরও বেশি টাকা কাটছে। বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকেই এতো ভোগান্তি হয়নি বলে জানান অধ্যাপক আজাদ।

বাকলিয়ার বড়মিয়া মসজিদ এলাকার ইসলাম কলোনির বাসিন্দা ইশতিয়াক হোসেন। তার পরিবারের সদস্য তিনজন। বাসায় দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালান তিনি। গত ২০ দিন ধরে প্রি-পেইড মিটারে টাকা বেশি কাটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ইশতিয়াক হোসেন বলেন, আমাদের বাসায় ফ্যান লাইট ও ফ্রিজ চলে। কোনো এসিও নেই। ৫০০ টাকা রিচার্জ করলে এক সপ্তাহও যায় না। এর মধ্যে ৫০০ টাকা রিচার্জ করলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু টাকাও কেটে ফেলছে। আগের পোস্ট পেইডে, এমনটা কখনোই হয়নি।

শুধু এ দুইজন নন, চট্টগ্রামের বেশিরভাগ গ্রাহকেরই এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। নগরে প্রি-পেইড মিটারের গ্রাহক রয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ।

বাড়তি বিলের বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের দাবি, মিটার চার্জ, ভ্যাট চার্জের কারণে মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়। তবে গ্রাহকদের অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী শামসুল আলম।

তিনি বলেন, গ্রাহকদের এমন অভিযোগ প্রায় সময় করা হয়। তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয়। এখন করোনাভাইরাসের কারণে সবাই বাসায় থাকায় বিদ্যুৎ খরচ বেশি হওয়ায় টাকাও বেশি কাটছে। তবুও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা খতিয়ে দেখছি।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, গ্রাহকদের এসব অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এমন দুঃসময়ে গ্রাহকদের হয়রানি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আশাকরছি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবেন।

Back to top button