কৃষিজাতীয়

সুপারির সাথী ফসল লটকন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা: সুপারি উৎপাদন যে লাভজনক এতে সন্দেহ নেই। দেশের অনেক জেলার মতো লালমনিরহাটেও সুপারি গাছের বাগান দেখতে পাওয়া যায়। তেমনই এক সুপারি বাগান রয়েছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের আশরাফুল আলমের। তার বাগানে রয়েছে ২৫০০ সুপারি গাছ। সেই বাগানে সাথী ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন ৩০০ লটকন গাছ।

আশরাফুল আলম জানালেন, প্রতিটি লটকনের চারা তিনি ৫০ টাকা দরে কিনেছিলেন। তা দুই বছর বয়স হতেই কিছু কিছু ফল দেয়া শুরু করেছিল।এখন তার বাগানের বয়স ৫ বছর। সাধারণত সুপারি বাগানে অন্য কোন ফসল হয়না। গাছের ছায়ায় কোন গাছই বেড়ে ওঠেনা। কেউ কেউ গাছপান বা চুঁই গাছ লাগিয়ে থাকেন। তিনি এবার ঠিক করেছেন, তার সুপারি বাগানে পান বা চুঁই গাছও লাগাবেন।

তার বাগানটি ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লটকনের গাছেই কা-ভেদ করে এসেছে লটকনের ফুল। আবার সুপারি গাছেও ধরেছে থোকায় থোকায় সুপারি। তিনি জানান, তার বাগানের লটকনের ফুল আসার আগেই ব্যাপারীর কাছে আগাম বিক্রি করে দেন। গতবছর তিনি ৪৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছিলেন।এবছর ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। তবে, তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগ থেকে তিনি কোন তথ্য সেবা কিংবা অন্য কোনও সহযোগিতা পাননি।

Back to top button