শিক্ষা

লকডাউনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা কমেছে ৮০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লকডাউনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উল্লেখযোগ্য হারে কমছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময়। বিআইজিডির গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য। আগে যেখানে গ্রামের শিক্ষার্থীরা দিনে স্কুল, কোচিং ও বাড়িতে নিজেদের পড়ালেখা মিলে ১০ ঘণ্টা ব্যয় করতেন, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ২ ঘণ্টায়। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ সময় কমেছে পড়াশোনার।
অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সময় পড়াশোনার সময় কমার বিপরীতে বেড়েছে শিশু শ্রমের হার। গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে যেখানে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ঘণ্টার বেশি আয়মূলক কাজে জড়িত ছিল এখন তার হার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশে। এই তথ্যগুলো, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে। শহরের বস্তি এলাকায়ও এ চিত্র মোটামুটি একই রকম।

বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, আমাদের দেশের মূল শক্তি হলো কমিউনিটি-ভিত্তিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ। অনেকরকম ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এই মূল শক্তিটিকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সেটা হতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পে কিংবা শিক্ষা খাতে ডিজিটাল ব্যবস্থার উদ্ভাবনে। আমাদের অবশ্যই হাতে হাত মিলিয়ে এ ব্যাপারে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি নির্ভর বহুমাত্রিক পদক্ষেপ সরকারি নীতিকে আমলে নিতে হবে। বাংলাদেশের গ্রামীণ পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থায় থাকা বাধাগুলোকে এভাবেই অপসারণ করা প্রয়োজন।

গবেষক নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের পড়াশুনায় ব্যয় করা সময় ১০ ঘণ্টা থেকে কমে ২ ঘণ্টায় নেমে গেছে। গ্রামের বাচ্চারা এখন পরিবারের কাজের পেছনে দ্বিগুণ সময় ব্যয় করছে। শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সময় না দিয়ে অ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে বেশি সময় দেয়ায় যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ করা কষ্টসাধ্য। বাস্তবে স্কুল বন্ধ হওয়ায় ৬ ঘণ্টা বা ৫০ শতাংশ বেঁচে যাওয়া সময় আমাদের গবেষণায় ‘অ-গ্রহণীয়’।

Back to top button