স্বাস্থ্য

সাতক্ষীরায় সরকারি স্টোরে কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ

Image result for ঔষুধ

ঢাকা: সাতক্ষীরা জেলায় সরকারি সংরক্ষণাগারে এক কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ চিহ্নিত করা হয়েছে। চাকরি চ্যুত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (স্টোর কিপার) সংশ্লিষ্টতা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে।সূত্র বলছে, এর সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তা-ব্যক্তিরাও জড়িত রয়েছেন।

গত ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর এক বার্তা দিয়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে।বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি সাতক্ষীরায় ডিআরএস স্টোরটি পরিদর্শন করেন সিভিল সার্জন এবং জেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। সেখানে তারা বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ চিহ্নিত করেন। যারা বাজার মূল্য এক কোটি টাকা। ওষুধগুলো স্টোরে রাখার জায়গা হচ্ছে না। ফলে জরুরিভিত্তিতে কনডেমেনশন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কনডেমেনশনের পর এ বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ নিতেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর অনুরোধ জানানো হয়।

প্যারাসিটামল, টেরিফাইনাল, ইটোরাল, নেফ্রোক্সেন, লোসারটানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্যাবলটেগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়াও চিকিৎসার ক্ষুদ্র সহায়ক জিনিসগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে। মোট ১৫০ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ পিস লোসারটান ট্যাবলেট, ১৪ হাজার ৭৫০ পিস ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটসহ বেশ ক’ধরনের ওষুধের কয়েক হাজার পিস মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরেই এই স্টোরে ওষুধ জমেছে। বিভিন্ন কোম্পানির এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তিদেরও হাত ছিলো।

বিশেষত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হকের নিজস্ব জেলায় এ ধরনের ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্টোর কিপারের চাকুরিচ্যুতির মাধ্যমে রাঘব বোয়ালদের হয়তো আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button