শিক্ষা

এমসিকিউয়ে নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত বহাল: শিক্ষামন্ত্রী

Image result for শিক্ষা
ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সৃজনশীলে প্রশ্নপত্র সাতটিই থাকছে। সৃজনশীলে ছয়টির স্থলে সাতটি প্রশ্ন দিয়ে ১০ নম্বর বাড়িয়ে ও এমসিকিউতে ১০ নম্বর কমিয়ে সময় বিভাজনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।

রোববার সচিবালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত পরামর্শক কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সৃজনশীলে একটি প্রশ্নের মাধ্যমে ১০ নম্বর বাড়িয়ে এমসিকিউতে নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এমসিকিউর ১০ নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। যুক্তিও নেই। কারণও নেই। প্রথমে মফস্বলে কিছু শিক্ষার্থী আপত্তি করেছিল। শেষ দিকে ঢাকার কয়েকটি স্কুলও তাতে যুক্ত হয়। তবে এখন আর তা নেই।”

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সৃজনশীলে ৬০টি প্রশ্নই থাকবে। তবে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক নেই, সেসব বিষয়ে ৩০টি অবজেকটিভ এবং যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে সেসব বিষয়ে ২৫টি অবজেকটিভ প্রশ্ন থাকবে।

এ ছাড়া বিকল্প প্রশ্নের বিকল্প বাড়িয়ে দেয়া, ৫ মিনিটের পরিবর্ত ১৫ মিনিট আগে এমসিকিউ এবং মূল পরীক্ষার খাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

নতুন পরিবর্তনের ফলে কী হবে সেটার ব্যাখ্যা দিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আগে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এমসিকিউর নম্বর ছিল ৪০। সময় ছিল ৪০ মিনিট। তখন সৃজনশীলে ৯টি প্রশ্ন থেকে ৬টির উত্তর দিতে হতো। সে জন্য সময় ছিল ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড। আর পরিবর্তনের ফলে এখন ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৭টির উত্তর দিতে হবে। সময় বরাদ্দ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বরাদ্দ থাকছে ২১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড।

মন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৪ সেকেন্ডের হেরফের কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। একই ভাবে ৭৫ নম্বরের যে পরীক্ষা হয়, তাতেও সমস্যা হবে না।

আজকের সভায় পরীক্ষাপদ্ধতি সংস্কার করে সহজ করা, প্রশ্নভান্ডার করা, বইগুলো পরিমার্জন করে সহজ করাসহ মাধ্যমিক শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস মনজুর আহমেদ প্রমুখ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button