কৃষি

উন্নত জাতের পেঁপে চাষে সফল কৃষক

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ডেইরি ফার্মের পর ‘রেডলেডি’ জাতের পেঁপে চাষেও সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন শাহেদ আয়াত উল্লাহ খান। চার বছর আগে ‘তরুছায়া এগ্রো ফার্ম’ নামে একটি ডেইরী খামার প্রতিষ্ঠা করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শাহেদ আয়াত খান। ডেইরি ফার্ম দিয়ে শুরু করা ‘তরুছায়া এগ্রো ফার্ম’ ইতিমধ্যে কৃষি বান্ধব মিশ্র ফলের বাগানে পরিণত করেছেন এ উদ্যোক্তা।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক বছর আগে প্রায় দশ একর পরিত্যাক্ত পাহাড়ী টিলা ভূমিতে চকরিয়াসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বীজ সংগ্রহ করে ছয় হাজারেরও বেশি ‘রেডলেডি’জাতের পেঁপের চারা রোপণ করেন ‘তরুছায়া এগ্রো ফার্ম’-এর কর্তধার শাহেদ আয়াত। স্বল্প মেয়াদি রেডলেডি পেঁপে চাষের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী উন্নত জাতের কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আম ও বড়ই চাষ করেছেন ‘তরুছায়া এগ্রো ফার্মে।

সম্প্রতি সরেজমিনে তরুছায়া এগ্রো ফার্ম ঘুরে দেখা গেছে, ডেইরি ফার্মের পাশেই অব্যবহৃত পাহাড়ী টিলা ভূমিতে সবুজে মোড়ানো ‘রেডলেডি’ জাতের পেঁপে বাগান। সাড়ি সাড়ি পেঁপে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন আকারের পেঁপে।

শুরু থেকে টানা ছয়মাস গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫জন শ্রমিক টানা কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে স্থায়ী ভিত্তিতে ৬ থেকে ৭ শ্রমিকসহ এ বাগানে দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে গড়ে দশ শ্রমিক কাজ করে থাকে বলেও জানান তিনি। নিয়মিত পরিচর্চা করা হলে পেঁপে বাগান থেকে সাফল্য আসবে বলেই মনে করেন তিনি।

রেডলেডি’ জাতের পেঁপে বেশ সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও ব্যাপক এমনটা জানিয়ে শাহেদ বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফেনীর পাইকারী বাজারে জায়গা করে নিয়েছে রেডলেডি পেপে। চলতি বছর ৪০ থেকে ৫০ টনেরও বেশি পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন জানিয়ে তিনি পেঁপে চাষে সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তার মতে পাহাড়ের অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারে ‘রেডলেডি’ জাতের পেঁপে।

জানাগেছে, তাইওয়ানের উচ্চ ফলনশীল প্রজাতির এ পেঁপে চারা রোপণের ৫-৬ মাসের মধ্যে ফুল আসে এবং ৭-৯ মাসের মধ্যে প্রথম ফল পাওয়া যায়। লাল-সবুজ রঙের প্রতিটি পেঁপের ওজন হয় দেড় থেকে দুই কেজি। খেতে সুমিষ্ট এ পেঁপে সুগন্ধিযুক্ত। কাঁচা ও পাকা উভয় প্রক্রিয়াতেই বাজারজাত করা যায়। পাকা পেঁপে খুব সহজে নষ্ট হয় না বলে বাজারজাত করা সহজ।

Back to top button