অন্যরকমপাঁচমিশালি

আমাজন গহীনের রহস্যময় নদীতে টগবগিয়ে ফুটছে পানি

নিউজ ডেস্ক: রহস্যময় এক নদী। যার পানি ফুটছে টগবগিয়ে। ভয় পেয়ে পশু-পাখিরাও নদীর কাছে যায় না। ১০৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা নদীতে। ওই ফুটন্ত পানিতে পড়লেই মৃত্যু অনিবার্য।
ভুলবশত কোনো পশু-পাখি সেখানেই গেলেই ফুটন্ত পানিতে পড়ে মরে। রহস্যময় এই নদীর ব্যাখা নেই বিজ্ঞানীদের কাছেও। এর অবস্থান আমাজনের গহীন বনে।

আমাজানের গহীনের এই নদীর পানি টগবগ করে ফুটছে আর ধোঁয়া উঠছে অনবরত। যেন একদম ফুটন্ত নদী। এ নদী আবিষ্কার করেছেন আন্দ্রে রূজো নামক এক বিজ্ঞানী। এ নদী আবিষ্কার এর পরই দুনিয়াজুড়ে এক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।

নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ কিলোমিটার। গভীরতা কম বেশি ২০ ফুট। আমাজনের একদম গহীনে নদীটি বয়ে চলেছে । নদীটির নাম মায়ানতুইয়াসো। স্থানীয় ভাষায় এর ইভোরেজেলী। এই নদীর আশেপাশের অঞ্চলে কোনো জীবজন্তুও বাস করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফিজিক্সের ছাত্র রূজো ছোটবেলাতে দাদুর কাছে এরকম এক নদীর কাহিনী শুনেছিলেন। প্রথমে তিনি এটিকে কাল্পনিক মনে করেন। তবে তিনি মনে মনে চিন্তা করেন, আমাজনে এরকম নদী থাকতেই পারে। তাই তিনি এরকম নদী আবিষ্কারের চেষ্টা করতে থাকেন।

তার গবেষণার সময় নদী বিষয়ক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে প্রথমে এরকম নদী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তবে সবাই দাবি করেন আমাজনে এরকম ফুটন্ত নদীর কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ এরকম থাকতে হলে আশেপাশে আগ্নেয়গিরি থাকতে হয়।

আমাজনের আশেপাশে তো কোনো আগ্নেয়গিরি নেই তাই এরকম নদীর কথা চিন্তাও করা যায় না। রূজো অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত আবিষ্কার করেন এই অদ্ভুত নদীর।

প্রায় ৮ দিন হেঁটে পেরুতে অবস্থিত আমাজন অঞ্চলে আন্দ্রে রূজো দেখা পেলেন সেই আশ্চর্য নদীর। নদীর কাছে যেতেই নদীর উষ্ণতা সম্পর্কে ধারণা পান। পরে মেপে দেখেন যে পানির তাপমাত্রা ঠিক ১০৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

নদীতে প্রায়ই জীবজন্তুর মৃতদেহ দেখা যায়। তারা পানি খেতে আসে কিন্তু আর ফিরে যেতে পারেনি। দিন দিন মৃত জীবজন্তুর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।

আজ পর্যন্ত এই নদীর রহস্য সমাধান করতে পারেনি কেউই। আমাজনের গহীনে এই নদী কীভাবে আসলো তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।

Back to top button