শিক্ষা

ঢাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী নীল দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সুপারিশের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে রবিবার জরুরি বৈঠকের পর সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েটেড প্রেস এখবর জানিয়েছে।

নেপালের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।’

একইসঙ্গে মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রস্তাব মতো জাতীয় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেন প্রেসিডেন্ট। আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল এবং ১০ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেন ওলি। রবিবার সকালেও ডাকা হয় মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক। তারপরই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিল অ্যাক্ট বা সাংবিধানিক পরিষদীয় আইন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারি করেন কেপি শর্মা ওলি। ওইদিনই তা প্রেসিডেন্টকে দিয়ে স্বাক্ষরও করিয়ে নেন তিনি। তারপর থেকেই ওই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের জন্য চাপ বাড়ছিল ওলির উপর। গত ১৫ তারিখ ওই অর্ডিন্যান্স পেশ হয় নেপাল পার্লামেন্টে।

সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিল বৈঠক ডাকতে পারবে বলে ক্ষমতা দিয়েছে এই আইন। আর ওই আইন পেশ হওয়ার পর ১৫ ডিসেম্বর দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন ওলি। কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিলের নেতৃত্বে আছে প্রধানমন্ত্রী ওলি। এর অন্য সদস্যরা হলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, জাতীয় অ্যাসেম্বলির চেয়ারপারসন, বিরোধী দলনেতা এবং ডেপুটি স্পিকার। বিভিন্ন কন্সটিটউশনাল ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয় এই কাউন্সিল।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে। কারণ, নেপালের সংবিধানে এধরনের কোনও কিছুর উল্লেখ নেই। ওলির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বর্ষীয়ান নেতা মাধব কুমার নেপাল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দাহাল সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Back to top button