অর্থ-বাণিজ্য

তবুও বিপুল পরিমাণ পণ্য পড়ে আছে বন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাজ এবং কন্টেইনার জট এড়াতে শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণ হারে পেনাল রেন্ট আদায় শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ডে রাখা হলেই প্রতিদিন ৬ থেকে ১২ মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হবে আমদানিকারককে।

আর ১১ দিনের বেশি থাকলে সেই হার হবে দ্বিগুণ। আমদানিকৃত পণ্য খালাস না করে ইয়ার্ডে ফেলে রাখায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে দেশের বাজারে বাড়ানো হচ্ছে সব ধরনের ভোগ্য পণ্যের দাম। পণ্য সরবরাহেও ঘাটতির অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরে স্তূপ জমেছে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের।

রহস্যজনক কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত পণ্য খালাস না করে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে রেখে দিয়েছেন। এ অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে জাহাজ এবং কন্টেইনার জটের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা-প্রশাসন) মুহম্মদ জাফর আলম বলেন, ভেতরে কন্টেইনার রাখাটা ব্যয় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ এ সুযোগ আর নেই। আমরা পরর্তীতে কঠোর ব্যবস্থার দিকে যাব।

জাহাজ ও কন্টেইনার জট এড়াতে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাস করতে ব্যবসায়ীদের একাধিকবার অনুরোধ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে অগ্রগতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় দ্বিগুণ হারে পেনাল রেন্ট আদায়। এখন থেকে ৪ দিন ফ্রি অবস্থানের পর পরবর্তী সাত দিনের প্রতিদিন ২০ ফুট কন্টেইনার জন্য ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুটের জন্য ১২ মার্কিন ডলার করে পরিশোধ করতে হবে। তারপরও ডেলিভারি নেয়া না হলে এই হার হবে ১২ এবং ২৪ মার্কিন ডলার।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মুহম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কোনো রকম সমস্যা ছাড়া যন্ত্রাংশ চলাচল করা যায়, সেই সকল বিষয় বিবেচনা করে আমরা আমদানিকারকদের বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে তারা যেন তাদের মালামাল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়ে যায়।

তবে আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাস করে বাজারে নেয়ার ব্যবস্থা না হলেও আসন্ন পবিত্র রমজানে ভোগ্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বন্দর এবং কাস্টমসহ অংশীজনদের সহযোগিতায় আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাসের আহ্বান জানান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

প্রাথমিক পর্যায়ে দ্বিগুণ হারে পেনাল রেন্ট আদায় হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নিয়ম অনুযায়ী চার গুণ পেনাল রেন্ট আদায়ের চিন্তা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে কন্টেইনার প্রতি চার্জের হার হবে ২৪ এবং ৪৮ মার্কিন ডলার।

Back to top button