জাতীয়

৬০০ বছরের পুরনো ঘাঘড়া খান বাড়ি মসজিদ

নিউজ ডেস্ক: মুঘল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ শেরপুর জেলায় অবস্হিত । প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে নির্মিত প্রাচীন এই মসজিদটির অবস্থান ঝিনাইগাতি উপজেলার ঘাঘড়া লস্কর গ্রামে, তাই এর নামকরণ হয়েছে “ঘাঘড়া লস্কর খান বাড়ি জামে মসজিদ” ।

মসজিদটির বিশেষত হল যে এর ইট গুলো চারকোণা টালির মত। আজ হতে ছয় থেকে সাতশত বৎসর পূর্বে এই ইট গুলির ব্যবহার ছিল। আস্তরণ বা পলেস্তার ঝিনুক চূর্ণ অথবা ঝিনুকের লালার সাথে সুড়কী, পাট’ বা তন্তু জাতীয় আঁশ ব্যবহার করেছে। মসজিদের গায়ের নিদর্শন থেকে ধারনা করা হয় মসজিদটি বক্সার বিদ্রোহী হিরঙ্গী খানের সময়কালে নির্মান করা হয়েছে । আজিমুল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে ধারনা করা হয়। এছাড়াও প্রচলিত রয়েছে যে, পালানো খা ও জব্বার খা দুই সহোদর কোন এক রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন । তারা পরাজিত হয়ে এই অরণ্যে আশ্রয় নেয় এবং মসজিদটি স্থাপন করে ।

মসজিদটি ৩০ ফুট সমান দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বিশিষ্ট। মসজিদের ভিতরে দুইটি খিলান রয়েছে। এক গম্বুজ বিশিষ্ট্য মসজিদটিতে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ টি মিনার রয়েছে। ভিতরে ১টি মেহরাব এবং দেয়ালে বিভিন্ন রঙের কারুকার্য রয়েছে। মসজিদের মোট জমি ৫৮% যা তৎকালীন খান বাড়ির লোকজন এবং গ্রামের অনেকে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়েছিলো। মসজিদের মূল ভবন ও বারান্দা মিলে ১৭% এবং বাকি ৪১% জায়গায় রয়েছে কবরস্থান।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মসজিদের ভেতরে ১ জন ইমাম সহ আরো ৩ টি কাতারে ১০ জন করে ৩০ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে জুমআর দিনে মসজিদের বারান্দা এবং বাইরে প্রায় অর্ধশত মানুষ নামাজ আদায় করে। স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন শেরপুরের ঘাঘড়া লস্কর খান বাড়ি মসজিদটি ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর রক্ষনাবেক্ষন করে আসছে।

Back to top button