জাতীয়

খোলা কারখানা, পরিবহন সংকটে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান অচলাবস্থায় উৎপাদনে রয়েছে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক কারখানা পুরোপুরিই খোলা রয়েছে।

কিন্তু অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, কারখানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শ্রমিকের বাসা নেই। স্বল্প বেতনে সাশ্রয়ী বাসা পেতে তারা কারখানা থেকে দূরে থাকেন। দূর থেকে হেঁটে আসতে নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। পথের দূরত্বের কারণে কারখানায় দু-এক মিনিট দেরি হলেই শ্রমিকদের বেতন কাটা হচ্ছে।

গত বছর লকডাউনে শত শত বহুজাতিক কোম্পানির শ্রমিকরা ছাঁটাইয়ের শিকার হন। বন্ধ হয়ে যায় হাজারো শিল্প কল-কারখানা। এর ধাক্কা লাগে দেশের রফতানি আয়ে নেতৃত্ব দেয়া পোশাকখাতেও।

একের পর এক বাতিল হতে থাকে রফতানি আদেশ। এতে শঙ্কা দেখা দেয় পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এ খাতে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের জীবন-জীবিকা নিয়ে।
এর পরই সরকারি সহযোগিতা আর ক্রেতাদের নতুন করে পণ্যের অর্ডারে ঘুরে দাঁড়ায় পোশাক শিল্প। তাতে উদ্যোক্তারা লকডাউনের মধ্যেও উৎপাদন অব্যাহত রাখেন। এবারও চলছে একইভাবে।

আগে গণপরিবহনের মাধ্যমে দূরের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজ করতে পারত। কিন্তু এখন তা বন্ধ। আবার কারখানাগুলো পরিবহন না রাখায় শ্রমিকদের আসা-যাওয়ায় বড় ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। কিছু কারখানা নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করলেও বেশিরভাগ কারখানাই করেনি। অনেকে ভাড়া বাঁচাতে একসঙ্গে ছোট গাড়ি-রিকশায় আসছেন। পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে কোনো শ্রমিক কারখানায় উপস্থিত হতে না পারলে তাকে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিচ্ছে, বেতন কাটা হচ্ছে।

Back to top button