বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রাহক ভোগান্তি লাঘবে মোবাইল ফোনের ‘প্যাকেজ’ কমানোর পরিকল্পনা

Image result for প্যাকেজ
মোবাইল সেবায় হাজারও প্যাকেজ থাকায় গ্রাহকদের মতো বিরক্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এই সেবায় বর্তমানে বিদ্যমান প্যাকেজের সংখ্যা কত, তা জানতে চেয়ে অতি সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। চিঠির জবাব এলে মোবাইলফোনের অপারেটরগুলোর বাজারে ছাড়া ভয়েস ও ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো কমানোসহ গ্রাহকবান্ধব কিছু নির্দেশনা জারির পরিকল্পনা নিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মনে করে, মোবাইলফোন অপারেটরদের চালু বিভিন্ন প্যাকেজ গ্রাহককে সুবিধার বদলে বরং ভোগান্তি দেয়। এসব প্যাকেজ চালু থাকায় গ্রাহকের পক্ষে তা মনে রাখা মুশকিল। আবার সঠিকভাবে জানা না থাকায়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্যাকেজ চালু (অটো-রিনিউ) হওয়ায় গ্রাহকের অজ্ঞাতে মোবাইল ব্যালেন্স থেকে টাকা কাটা যায়। গ্রাহককে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এই শতেক-হাজারও প্যাকেজ সীমিত করারও উদ্যোগ নিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম. রায়হান আখতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোবাইলফোনে হাজারও প্যাকেজ আছে। চরম বিরক্তিকর এটা। এত প্যাকেজের প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয় বিটিআরসির কাছে চিঠি দিয়ে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। উত্তর এলে প্যাকেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
জানা গেছে, বিটিআরসিকে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে অপারেটরগুলোর মোট প্যাকেজ সংখ্যা, অনুমোদনহীন প্যাকেজের সংখ্যা, যেসব প্যাকেজ অটো-রিনিউ হয়, সেসব প্যাকেজের তালিকা এবং গ্রাহকের সমস্যা হয়, এমন কি কি সেবা বিদ্যমান আছে, যেগুলো গ্রাহক বুঝতে পারে না।

এম. রায়হান আখতার আরও জানালেন, বিটিআরসির উত্তর পেলে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করে সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চায় মন্ত্রণালয়। যেসব প্যাকেজ অটো-রিনিউ হয়, সেসব প্যাকেজ বন্ধ করা এবং প্যাকেজের সংখ্যা কমানোর মতো সিদ্ধান্তও আসতে পারে মন্ত্রণলালয়ে থেকে বলে তিনি জানান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মোবাইল অপারেটররা যত প্যাকেজ অফার করে গ্রাহকদের জন্য, বাস্তব অর্থে এতো প্যাকেজের কোনও প্রয়োজন নেই। অল্প অথচ কার্যকরী প্যাকজ গ্রাহককে স্বস্তি দিতে পারে এবং সাশ্রয়ী করে তোলে। অপারেটরদের অতিবাণিজ্যিক ‘প্যাকেজ’ বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, শতেক-হাজারও প্যাকেজ না রেখে তা থেকে কমিয়ে ১০-২০টার মধ্যে নামিয়ে আনা হতে পারে। বিটিআরসি থেকে ‍উত্তর আসার পরেই প্রাথমিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে রূপ নেবে।

প্রসঙ্গত, বিটিআরসির উদ্যোগে আগামী ২২ নভেম্বর মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর গ্রাহক ‘সেবার মান’ নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গণশুনানির আগে মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের উদ্যোগ মোবাইলফোন সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button