পাঁচমিশালি

চোখ কিভাবে দেখে?

নিউজ ডেস্ক: চোখ ও কানের অসাধারণ উপলব্ধি ক্ষমতা হলো আরেকটি বিষয়-যা সম্পর্কে বিবর্তন থিওরী নিরুত্তর থেকে যায় । আমরা কি প্রক্রিয়ায় দেখতে পারি ?”-এই প্রশ্নটির একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রদান করি।

কোন একটি বস্তু হতে আগত আলোক রশ্মি চোখের রেটিনার (অক্ষি গোলকের সর্ব পিছনের স্তর) উপর গিয়ে ঠিক উল্টোভাবে পতিত হয়। এখানে পতিত আলোক রশ্মিগুলো কিছু কোষের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে রূপান্তরিত-হয় এবং পরে তারা “দৃষ্টির কেন্দ্র” নামে মস্তিস্কের পশ্চাৎদিকের একটি ছোট এলাকায় গিয়ে পৌচ্ছে। মস্তিস্কের-কেন্দ্রে এই ইলেকট্রিক সিগন্যাল গুলো বিভিন্ন ধারাবাহিক পরিবর্তনের পর একটি ইমেজ বা প্রতিবিম্ব হিসেবে গৃহীত হয়।

মস্তিষ্ক আলো থেকে সম্পূর্ণ রূপে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তার মানে হলো যে, মস্তিস্কের-ভিতর ভাগটা ঘন অন্ধকার আর যে জায়গাটিতে মস্তিষ্ক থাকে সেখানে আলোক পৌছে না। “দর্শনের কেন্দ্র” নামক স্থানটি একটি ঘন অন্ধকার জায়গা যেখানে কখনো আলো পৌছে না; এমনকি এটি আপনার জানা সমস্ত জায়গা সমূহের মাঝে সবচেয়ে অন্ধকার জায়গাও হতে পারে। যাই হোক, আপনি এই ঘন কালো অন্ধকারের মাঝেই একটি উজ্জ্বল আলোকিত জগৎ দেখতে পান।

চোখে তৈরী ইমেজ এত তীক্ষ্ম ও পরিষ্কার যে এমনকি বিংশ শতাব্দীর টেকনোলজিও তা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারেনি। দৃষ্টান্ত স্বরূপ, আপনি আপনার বইটির দিকে তাকান, যে হাতগুলো দিয়ে বইটি ধরে আছেন সেগুলোর দিকেও তাকান, তারপর আপনার মাথা উঠিয়ে আপনার চার পাশে লক্ষ্য করুন। আপনি কি কখনো অন্য কোথাও এটির মতো এমন তীক্ষ্ম ও স্বচ্ছ ইমেজ দেখেছেন ? এটি হলো ত্রিমাত্রিক, রঙ্গিন আর অত্যন্ত স্পষ্ট ইমেজ। একশ বছরেরও বেশী সময় ধরে এমনতর স্বচ্ছতা অর্জন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়র। কারখানা, বড় বড় জায়গা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অনেক গবেষনা করা হয়েছে, এই উদ্দেশ্যে বহু পরিকল্পনা ও ডিজাইন করা হয়েছে। তীক্ষ্মতা ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আপনি বিরাট এক পার্থক্য খুঁজে পাবেন।

Back to top button