স্বাস্থ্য

ধনেপাতার গুণাগুণ

1.4
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা জানান ধনেপাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার কথা।

তিনি জানান, ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন থাকায় এটি চোখ ও দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে আরও নানা ধরণের ভিটামিন ও খনিজ। ধনেপাতা নানা রকমের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রয়েছে ভিটামিন বি, সি, এবং কে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও সোডিয়াম ইত্যাদি পাওয়া যায়। যা শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফারাহ মাসুদা জানান, ধনেপাতায় আছে প্রচুর পরিমাণের বিটাক্যারোটিন। এতে ৪৪ মি.গ্রা খাদ্যশক্তি, ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৬ মি.গ্রা স্নেহ, ৬.৩ মি.গ্রা কার্বোহাইড্রেট, ২.৩ গ্রাম মিনারেল, ৬৯১৮ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, ০.০৬ মি.গ্রা, ভিটামিন বি টু, ১৩৫ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ১৮.৫ মি.গ্রা লৌহ এবং ১৮৪ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম।

ধনেপাতা নানা রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে বলে জানান তিনি।

যেমন:

* স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে এটি সাহায্য করে।

* হজম, পাকস্থলি প্রদাহ, বাত ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

* শরীরের ক্ষতিকারক চর্বি কমাতে ও উপকারি চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে।

* আলসেইমার নামক মস্তিষ্কের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এটি।

* স্যালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ধনেপাতা কাজ করে।

* নানা রকমের এলার্জি, আমবাত, ফোঁড়া অথবা চুলকানি হলে ধনেপাতা পেস্ট করে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

* ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই পাতা বিশেষ উপকারি। এটি রোগীর দেহের ইনসুলিনের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।

* ধনেপাতায় আয়রন বেশি থাকায় এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে।

* গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি বায়ুনাশক।

* ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।

* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও ধনেপাতা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রূপচর্চায় ধনেপাতা সাহায্য করে। এর রস জীবাণুনাশক। তাই ত্বকের যে কোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে ধনেপাতার রস ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button