শেয়ারবাজার

ন্যাশনাল টির মুনাফা বেড়েছে ১৮ গুণ, ডেসকোর ৭ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘ন্যাশনাল টি’ কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ইফাদ অটোস এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডসহ দশটি কোম্পানি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে মুনাফায় বড় ধরনের উত্থান দেখিয়েছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড এবং ডেসকো। এছাড়াও মুনাফা বেড়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও হাওয়ালে টেক্সটাইল বিডির। বিপরীতে মুনাফা কমেছে কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইফাদ অটোস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার এবং ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের।

লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড। আরও বেশি লোকসানে পতিত হয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১৮ গুণ। তাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৬৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৪১ পয়সা। অর্থাৎ, মুনাফা বেড়েছে প্রায় চারগুণ।

ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৫ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ, ৭ গুণের বেশি ইপিএস বেড়েছে।

তাতে চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫১ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ, দুই প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ২০ পয়সা।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ইপিএস ১ টাকা ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান ছিল। প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ২ টাকা ২৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

হাওয়ালে টেক্সটাইল বিডির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সায়। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ, ৪৪ পয়সা ইপিএস বেড়েছে।

তবে একই সময়ে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৭৭ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে।

ইফাদ অটোস লিমিটেডের ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৯৮ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ, মুনাফা কমেছে ৪২ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৬ পয়সা।

লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৪১ পয়সা আয় হয়েছিল। বড় ধরনের মুনাফা কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯ পয়সা।

ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমসের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ২৭ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ, ইপিএস কমেছে। প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭৪ পয়সা।

এছাড়াও লোকসান কমে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা। গত ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৪ টাকা ৪৩ পয়সা।

স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ৮৯ পয়সা লোকসান হয়েছিল। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৮ পয়সা।

Back to top button