ইসলামজাতীয়

ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য্যর মধ্যদিয়ে পালিত হলো পবিত্র শবে বরাত শরিফ -সুবহানআল্লাহ

ইসলামি ডেস্ক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যথাযথভাবে পালিত হল মহিমান্বিত ও ফজিলতপূর্ণ রাত ‘পবিত্র শবে বরাত’। ঢাকাসহ সারা দেশে মসজিদে বা ঘরে জায়নামাজে বসে দু’চোখের পানি ফেলে সারা রাত ইবাদত-বন্দেগি করছেন মুসুল্লিরা। অনেকে দিনের বেলা রোজাও রেখেছিলেন। অনেকে মসজিদের বাইরে বসে থাকা গরীব-অসহায় মানুষদের সহায়তাও করেছেন। মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন ছিলেন। জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত করেন। ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি হয়েছে। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। সন্ধ্যার পরে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। আরবি দিনগণনা অনুসারে শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। শবে বরাত মুসলিমদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। তাই শবে বরাতের রাত থেকে রমজানের প্রস্তুতিও শুরু করেন মুসলমানরা। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। এটি ফারসি শব্দ। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত। এইদিন কে মুসলমানরা পালন করে ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পবিত্র শবে বরাত পালনের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি নিয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ মাগরিব থেকে রাতব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘শবে বরাতের ফজিলত’, ‘ইবাদত ও দোয়ার গুরুত্ব’, ‘শবে বরাত ও রমজানের তাৎপর্য’, ‘জিকিরের ফজিলত ও গুরুত্ব’ এবং ‘তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত’ বিষয়ে আলোচনা। কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত। বিগত যেকোনো বারের তুলনায় এবার জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররম সহ সারা দেশের মসজিদ গুলোতে প্রচুর ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত।

Back to top button