ইসরাঈলের সৃষ্টি আইএস হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল !

ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার কথা বললেও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল তারা ইসলাম বিরোধী শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ছিল সন্ত্রাসীগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে।

২০১৪ সাল থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে সক্রিয় আইএসকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং সৌদি আরব অস্ত্র সরবরাহ করে বলেও তথ্য বেরিয়েছে। এবার যেন আইএসের ‘চিচিং ফাঁক’ হয়ে গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগের প্রমাণও বেরিয়ে পড়েছে।
কারণ কোনো রাখঢাক না করেই এবার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংস্থা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে আইএস। বুধবার বিতর্কিত সাইট ইন্টেলিজেন্স ওয়েবসাইটের এক ভিডিওবার্তায় এই ঘোষণা দেয় মিশরের জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
২২ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের একজন সদস্যকে চোখ বেঁধে হাঁটু নিচু করে বসিয়ে রেখে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
ভিডিওবার্তায় অভিযোগ করে বলা হয়, হামাস গাজার অন্যান্য ইসলামি কট্টরপন্থীদের নির্যাতন করছে। যার কারণে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে।
তবে হামাসের সঙ্গে আইএসের দ্বন্দ্ব গত কয়েক বছর থেকে আগে শুরু হয়, যখন আইএস সিনাই পর্বত এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করতে চায়, কিন্তু হামাস মিশর-গাজা সীমান্তে সুরক্ষার জন্য আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস তিনবার যুদ্ধ করে। প্রতিবারই ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্ত্বেও দখলদার বিরুদ্ধে বীরোচিত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয় তারা।
সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। এরপর জেরুজালেমকে রক্ষায় তৃতীয় ইনতিফাদা বা গণপ্রতিরোধের ডাক দিয়েছে হামাস। যাতে সাড়া দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণ অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর ও গাজায় প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ করছেন।
জেরুজালেম নিয়ে মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগের মধ্যেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংস্থা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল আইএস।