শিক্ষা

১৫ লাখ শিক্ষিত যুবক বেকার হবে কোচিং সেন্টার বন্ধে

Image result for কোচিং সেন্টার

কোচিং সেন্টার বন্ধ হলে ১৫ লাখ শিক্ষিত যুবক বেকার হবে বলে দাবি করেছে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অবিলম্বে কোচিং বন্ধ করার ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানায় সংগঠনটি।

একই সঙ্গে কোচিংয়ের স্বীকৃতি ও বৈধ নীতিমালা প্রণয়ন, কোচিংয়ের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করা ও কোচিং সেন্টারের জন্য ভাড়া করা বাড়ির ওপর অর্পিত ভ্যাট প্রদান বন্ধ করারও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কোচিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. ইমাদুল হক (ই. হক)।

তিনি জানান, কোচিং সেন্টারে প্রতি মাসে স্বল্প বেতন নিয়ে সব বিষয়ে পাঠদান করা হয়। বাসায় সবগুলো বিষয়ে কোনো শিক্ষকের কাছে সেবা নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অভিভাবককে মাসে অনেক টাকা খরচের চিন্তা করতে হয়, যা একটা সাধারণ পরিবারের পক্ষে সাধ্য থাকা সত্বেও সাধ্যে আসে না। ফলে তার সন্তান সঠিকভাবে শিক্ষাসেবা না পেয়ে চূড়ান্ত কোনো পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। তাই কোচিং সেন্টার হলো দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিকভাবে সকল বিষয়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়ে ক্লাশের মধ্যে মেধাবী ও নৈতিক চরিত্রবান শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিষ্ঠান।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত এ পেশার ওপর সঠিক জরিপ না হলেও সারা দেশে লক্ষাধিক কোচিং সেন্টার বা সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কোচিং সেন্টারে ১০/১৫ জন করে শিক্ষক থাকলেও প্রায় ১০/১৫ লাখের মতো শিক্ষিত যুবক তাদের অন্ন সংস্থানের জন্য কর্ম করে থাকে। দেশের দরিদ্র পিতা-মাতার শিক্ষিত সন্তানরা নিজেদের লেখাপড়ার ব্যয় বহন করাসহ পরিবারের ভরণ-পোষণ করে থাকে। এসব কোচিং সেন্টারে পাঠদান করে বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে রাজস্ব খাতে অবদান রাখছে এসব প্রতিষ্ঠান।

ইমাদুল হক বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন যে, প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। অথচ কোচিং সেন্টারকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আখড়া ঘোষণা দিয়ে কোচিং সেন্টারগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কোচিং বন্ধের বিষয়টি শুধু আমাদের নয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলকে চিন্তিত ও উৎকণ্ঠিত করেছে। এই উৎকণ্ঠা থেকে আমরা মুক্তি কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সব জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোচিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ সরকার, আবু রায়হান, মাহবুব আরেফিন, মো. আকমল হোসেন, ওমর ইকবাল নাদিম, মো. নুরুল আমিন প্রমুখ।

Back to top button