আবাসন

নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

Image result for আগুন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এছাড়া তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইন বরাবর দু’দিন ধরে থেমে থেমে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করছে সেদেশের সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা। এতে করে তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে বসবাসকারী ছয় হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা আতঙ্কে রয়েছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির পাহারা বাড়ানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মংডু, ফকিরাবাজার ও ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। রাতেও আগুন দেওয়া হয় ঘরবাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় জ্বালানো ঘর-বাড়িগুলো থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। আতঙ্কে সীমান্তের ওপার থেকে বেশকিছু রোহিঙ্গা জিরো লাইনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে চলে এসেছে। এদিকে, বুধবার রাতে তমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা তাদের ক্যাম্পগুলো থেকে থেমে থেমে ফাঁকা গুলি ছুড়ছে। তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম ইকবাল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি মিয়ানমারের মংডু ও ফকিরা বাজার এলাকায় আবারও আগুন দিয়েছে ওই দেশের সেনাবাহিনী। তমব্রু এলাকা থেকে রাতে আগুনের ধোঁয়াও দেখা গেছে। তবে এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নতুন করে কোনও রোহিঙ্গা প্রবেশ করেনি।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১৫ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান নেয়। এদের মধ্যে সাপমারা ঝিরি, বড় ছনখোলা এলাকা ও দোছড়ি থেকে সব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হলেও তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে এখনও ছয় হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা রয়ে গেছে। এদের কবে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া হবে তা এখনও জানাতে পারেনি প্রশাসন।

Back to top button