এ কোন প্রহসন: সম্মতিক্রমে যৌন মিলনকে ঘটনার পরে ধর্ষণ বলে আখ্যায়িত করা যাবে না কিন্তু স্ত্রীর ইচ্ছা ব্যতীত স্বামী মিলন করতে চাইলে তা হবে ধর্ষণ!!
রেখা শর্মার দাবি আর মুম্বাইয়ের হাইকোর্টের রায়: কোন দিকে যাচ্ছে ধর্ষণের ব্যাখ্যা?
পারস্পারিক সম্মতিক্রমে যৌন মিলনকে ঘটনার পরে ধর্ষণ বলে আখ্যায়িত করা যাবে না বলে মত দিয়েছে ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যৌন মিলনের সময় শিক্ষিত কোনো নারী যদি ‘না’ না বলে এবং কোনো পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ায় তবে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।
মুম্বাইয়ের সোলাপুরে ধর্ষণ, প্রতারণা এবং ভয় প্রদর্শনের দায়ে অভিযুক্ত ২৫ বছরের এক যুবকের আপিল শুনানিকালে এ পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত। এছাড়া ওই মামলায় অভিযুক্তকে অগ্রিম জামিনও দিয়েছে আদালত। ২৪ বছরের এক নারী তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল।
-
BitMAX 10【V:37378o805】返手续费2024 Aug http://bex.inkusdt返佣卡 国内可玩
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ -
Ga【WX:37378O8O5】交流群注册 http://bex.ink te交易所苹果下载app
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ -
10u返傭卡怎樣使用 臺灣可玩 唯【信:37378o8o5】顶级代理2024 Aug http://bex.ink客
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ -
huobi 【微信37378o805】顶级代理免翻墙 http://bex.ink app官方下载最新版交易所app下载下载 大陆
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন, গত বছরের মার্চ মাসে ওই যুবকের সাথে প্রথম পরিচয় হয় তার। তখন সে ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে দৈহিক সম্পর্কে জড়ান তারা। মামলার বাদীর দাবি, গত বছরের মে মাসে তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করে অভিযুক্ত যুবক। পরে ওই নারী বারবার দৈহিক সম্পর্কে জড়াতে অস্বীকার করলে তার ওপর অভিযুক্ত যুবক নির্যাতন করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এরপরই স্থানীয় থানায় মামলা করে ওই নারী।
বিচারপতি মৃদুলা ভাটকরের আদালতে মামলাটির শুনানিকার্য সম্পন্ন হয়। ধর্ষণ এবং সম্মতিক্রমে যৌন মিলনের মধ্যে পার্থক্য করে তিনি বলেন, পাশ্চাত্যের প্রেক্ষাপট থেকে মামলাটি বিবেচনা করা হলে এটি একটি সম্মতিমূলক কর্ম। তিনি আরো বলেন, ‘যদি আপনি শিক্ষিত হন। আপনার ‘না’ বলার সুযোগ থাকে। তবে এটা আর ধর্ষণ হয় না। এটা সম্মতিমূলক একটি কর্ম।’
অপরদিকে রেখা শর্মা, তসলিমা নাশেরিন, শিরিন এবাদি, মারনিসি সহ তাবত নারীবাদীরা দাবী করছে, স্ত্রীর ইচ্ছা ব্যতীত স্বামী মিলন করতে চাইলে তা হবে ধর্ষণ এবং তার জন্য স্বামীকে শাস্তিও পেতে হবে!!
সত্যিই আশ্চর্য তামাশা!!!
বৈবাহিক সম্পর্ক ধর্ষণের মতো ঘটনা জায়েজ করে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেনের সদস্য রেখা শর্মা।
স্বামী কর্তৃক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে ‘সাজুয্যপূর্ণ নয়’ বলে রাজ্যসভায় ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী মানেকা গান্ধীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রেখা শর্মা এই টুইট করেছেন বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
অনিচ্ছুক নারীকে স্বামী যৌনসম্পর্কে বাধ্য করলে তার প্রতিকারের আইন বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে।
এটা স্বীকার করেই মানেকা বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বলেছিলেন, ‘সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, শিক্ষার অনগ্রসরতা’ ইত্যাদি নানা কারণে ভারতের সঙ্গে এটা খাপ খায় না।
এর প্রতিক্রিয়ায় রেখা শর্মা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “কোনো সমস্যা ঠেকাতে আইন একটি কার্যকর পন্থা। অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভারতের নাগরিকদের অনেকেই উদাসীন। কিন্তু তারাই বিদেশে কিন্তু এই ক্ষেত্রে আইন মেনে চলেন।
“স্বামী কর্তৃক ধর্ষণ যখন বিশ্বের অন্য দেশে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত, তখন ভারতে তা হবে না কেন?”
এই জন্য সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখবেন জানিয়ে ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেনের এই সদস্য বলেন, “আমি চাই বিষয়টি নিয়ে সবার মধ্যে আলোচনা হোক, একটা ফল বেরিয়ে আসুক।”