অর্থ-বাণিজ্য

উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে: ফখরুল

সরকারের ঘোষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সন্দেহ সানেমের

‘উদ্যমহীন’ সরকারের প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সন্দেহ সিপিডির

অর্থনীতির এই ছাত্র বলেছেন, শুধু কতগুলো অঙ্কের হিসাব মি্লিয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে।

গত জানুয়ারিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ হবে বলে ধরেছে।

সরকারের এই প্রাক্কলনের কাছাকাছি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের আভাস দিয়েছে এডিবি; তারা বলছে এই অঙ্ক ৮ শতাংশ হতে পারে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

তবে দেশের গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও সানেম প্রবৃদ্ধির এই হিসাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য পুনঃপর্যালোচনার আহ্বানও এসেছে তাদের কাছ থেকে।

রোববার এক ইফতার অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, “এ্ সরকার সবসময় বলে, তারা উন্নয়ন করছে। যে উন্নয়ন তারা করছেন বলে বলছেন, সত্যিকার অর্থে কি সে উন্নয়ন হচ্ছে?

“আজকে দেখা যাচ্ছে, অর্থনীতিবিদরা পরিষ্কার করে বলতে শুরু করেছেন, বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে, সেই প্রবৃদ্ধির হার সঠিক নয়। শুধু কতগুলো অঙ্কের হিসাব মি্লিয়ে প্রবৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বর্তমান সরকার শুধু বন্দুক-পিস্তলের জোরে, গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। গণতন্ত্রের নাম নিয়ে, নির্বাচনের নাম নিয়ে তারা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী, একদলীয় একটা সরকার চাপিয়ে দিচ্ছে।

“এই সংকট আজকের নয়, এটি শুরু হয়ে যেদিন ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রবর্তন করেছে, সেদিন থেকে।”

দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “শুধু গণতন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে। উনি যদি গণতন্ত্র না চাইতেন, উনি যদি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকতেন, আপস করতেন, তাহলে কিন্তু তাকে আজকে কারাগারে থাকতে হত না।

“তিনি অন্যায়ের সঙ্গে, একনায়কের সঙ্গে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করেননি বলেই কারাগারে রয়েছেন। তাকে অন্যায়ভাবে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।”

দেশে সর্বক্ষেত্রে লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধসে পড়েছে। কয়েকদিন আগে দেখলেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র বালিশ দুর্নীতি। আরেকটা খবর আসছে, সাতক্ষীরাতে মেডিকেল কলেজে ১৭ কোটি টাকা কেনাকাটা হয়েছে, তার মধ্যে ১৫ কোটি টাকার কোনো হিসাব নাই।

“কার কাছে কে প্রশ্ন করবে, কে জবাব দেবে? কোখাও জবাবদিহিতা নেই। এই অবস্থার মধ্যে দেশ চলতে পারে না।”

ঢাকার বিজয় নগরের একটি হোটেলে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের দেওয়া ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফখরুল।

Back to top button