শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবীতে যা আছে

রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জেরে নিরাপদ সড়ক, ঘাতক বাস চালকদের বিচার করাসহ ৯ দফা দাবিতে চারদিন ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার চতুর্থ দিন বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণ কার্যত ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভয়ে রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন না মালিকরা।

যে ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা সেগুলো হচ্ছে–

১. বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।

২. নৌপরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

৩. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না।

৪. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।

৫. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬. প্রত্যেক সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার দিতে হবে।

৭. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

৮. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের নিতে হবে।

৯. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। বাসচাপায় আহত হন আরও ১৩ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিহত একজনের নাম আবদুল করিম, তিনি শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। নিহত অপরজন একই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী দিয়া খানম ওরফে মীম। তিনি একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ঘটনাস্থলের পাশেই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। ঘটনার সময় ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা রেডিসন ব্লু হোটেলের পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। অনেকে বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এলে শিক্ষার্থীরা তাতে ওঠার চেষ্টা করেন। ওই সময় জাবালে নূর পরিবহনের আরেকটি বাস বাম পাশ দিয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের চাপা দেন। এতে ঘটনাস্থলে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।

খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীরা এসে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Back to top button