আইন-আদালত

ইসি ও প্রশাসনকে চাপে রাখতেই কোনও কোনও দল অভিযোগ করছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ছবির ফলাফল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে কোনও কোনও দল বা প্রার্থী অভিযোগ করছেন। এটা তাদের কৌশল। তারা এটা করতে পারে। তবে আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমি এবিষয় নিয়ে মন্তব্য করবো না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানী ক্যাথলিক চার্চ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই উত্তর দেন।

নির্বাচনি কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে- কোনও কোনও প্রার্থী বা দলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা অভিযোগ দিতে পারেন। সে ব্যাপারে বিতর্ক করবো না। কারণ আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তারা নানা ধরণের অভিযোগ করতে পারেন। আমি মনে করি বিরোধী পক্ষকে, নির্বাচন কমিশনকে কিংবা প্রশাসনকে একটি চাপের মুখে রাখার কৌশল এটি। এটা কোনও কোনও দলের স্ট্র্যাটেজিও হতে পারে।’

নির্বাচনে ভোট চাওয়ায় কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, পেশিশক্তি যারা প্রয়োগ করতে পারে, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা সেই কাজটিই করে যাচ্ছি। কোনোভাবে ভোট কেন্দ্রে বা ভোট গ্রহণের আগে ও পরে যেন কেউ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্ন করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি। যারা অভিযোগ করছে, তারা তাদের স্বার্থ চিন্তা করে প্রশাসনকে চাপে ফেলার জন্য মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দেখতে পাচ্ছি। তবে ২/৪ টা আসল অভিযোগও রয়েছে। সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নগরবাসী ও বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে বার্তা দিতে চাই, সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে কাউকে যেন বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয় সেজন্য আমরা ও স্বশস্ত্র বাহিনী তৎপর রয়েছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরণের গুজব রটানো হচ্ছে। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামেও মিথ্য ফেসবুক আইডি খুলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যা অত্যন্ত আতঙ্কের বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার স্পেসে এই সব গুজব ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

Back to top button