অর্থ-বাণিজ্যজাতীয়বিবিধ

বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করতে চায় নিউজিল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করতে চায় নিউজিল্যান্ড। বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জোনা ক্যাম্পকার্স।

বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা, অবকঠামো, যোগাযোগ বিদুৎ ও কৃষিসহ সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার কৃষি খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। কৃষিতে শতভাগ যান্ত্রিকীরণের লক্ষ্যে সরকার কৃষি য্ন্ত্রপাতিতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে।’

নিউজিল্যান্ডের পর্যটন ও কৃষি খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরও পর্যটন ও কৃষি সম্ভাবনাময় খাত। যৌথভাবে এ খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ লাভজনক হবে। দেশে এখন অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে।’

বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণে বিনিয়োগে নিউজিল্যান্ডের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।নিউজিল্যান্ডের উন্নতমানের শস্যের বীজ বাংলাদেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

Related Articles

বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলের প্রক্রিয়াজাতের বিষয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত জানান, তারা যৌথ অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চান। এদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে কারখানা প্রতিষ্ঠায়ও আগ্রহের কথা জানান জোনা ক্যাম্পকার্স।

বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানী ও টেকনিশিয়ানদের নিউজিল্যান্ডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় নতুন নতুন শস্যের জাত উদ্ভাবন করছে। আমাদের শস্যের উৎপাদন বাড়ছে কিন্তু কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এজন্য প্রক্রিয়াজাত, বাজারজাত ও মূল্যসংযোজন অপরিহার্য।’

Back to top button