আন্তর্জাতিক

তুরস্ক সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জয়ের দ্বারপ্রান্তে : এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছে, তার দেশ সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে এরদোগান বলে, অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ চলাকালে তুর্কি সেনারা আফরিনের ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

এরদোগান বলেছে, জারাবুলুস ও আল বাবের মতো আফরিন, ইদলিব ও মানবিজেও আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবো। আমরা চাই আমাদের সিরীয় ভাই ও বোনেরা যেন তাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারে। এর আগে সিরিয়ায় সামরিক সমন্বয় আরও জোরদার করতে একমত হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক ও নিরাপত্তা সেবার ক্ষেত্রে এই সমন্বয় বাড়ানো হবে বলে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ক্রেমলিন জানায়, সিরিয়ায় সামরিক ইস্যুতে সমন্বয় বাড়ানোর ব্যাপারে পুতিন ও এরদোগানের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। এতে করে সিরিয়ায় রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে নতুন যোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ জানায়, ফোনালাপে দুই নেতা তিন দেশের একটি সম্ভাব্য সম্মেলন নিয়েও আলোচনা করেছে। তবে কোনও তারিখ নির্দিষ্ট হয়নি।

সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিচ্ছে রাশিয়া। আসাদ সরকারের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারাও। আর কুর্দি অধ্যুষিত আফরিনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্ক। ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার আফরিনে কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে তুর্কি বাহিনী। আঙ্কারা বলছে, তারা শহরটিকে সন্ত্রাসীদের করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেবে না। আর তা নিশ্চিত করতেই হামলা চালানো হয়েছে। তুর্কি বাহিনীর এই অভিযানে সিরিয়ার জটিল রাজনৈতিক ও সামরিক সমীকরণ আরও বেশি জটিল হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কুর্দি ওয়াইপিজি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই হামলা ট্রাম্প প্রশাসনকে ন্যাটোভুক্ত তুরস্কের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ওয়াইপিজি’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক।

Back to top button