শেয়ারবাজার

ডিএসইর অংশীদারিত্বে অনুমোদন পেলো চীনা কনসোর্টিয়াম

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বৃহস্পতিবার (০৩ মে) কমিশনের ৬৪৩তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রস্তাবিত কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার ২১ টাকা মূল্যে বিক্রি করবে। তবে শেয়ার ক্রয় চুক্তিপত্রে তিনটি শর্ত মানতে হবে।

শর্তগুলো হচ্ছে- যাবতীয় কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন ও দেশের প্রযোজ্য অন্যান্য আইনসহ এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ডিএসই’র ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম অনুযায়ী করতে হবে। চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী এক বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করে কমিশনকে অবহিত ও কমিশনের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া চুক্তির শর্তাবলী ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি পরিবর্তন করা যাবে না।

এর আগে গত সোমবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন দেন।

শেয়ারহেল্ডারদের অনুমোদনের পর সংশোধিত প্রস্তাব বিকেলে জমা দেয় ডিএসই। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

আর ২২ ফেব্রুয়ারি চীনের কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদনের জন্য ডিএসইর সেক্রেটারি মো. আসাদুর রহমান বিএসইসিতে প্রস্তাব জমা দেন। এর আলোকে একই দিনে ডিএসইর প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে আহ্বায়ক ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের কমিটি করে বিএসইসি।

ডিএসইর প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ে বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটি চীনা কনসোর্টিয়ামের কিছু শর্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইকে লিখিতভাবে জানায় বিএসইসি। এরই আলোকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ গত ৪ মার্চ ব্যাখ্যা দিয়েছে।

তবে সেই ব্যাখ্যায় বিএসইসি সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, চীনের মতো বড় অর্থনীতির দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের অংশীদারিত্ব দেশের পুঁজিবাজারকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। এই দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বিশ্বে সমাদৃত।

‘কাজেই এখানে চীনের বিনিয়োগের তথ্যে বিদেশি বড় বড় বিনিয়োগ আসবে। আর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও উপকৃত হবে,’ বলেন তিনি।

Back to top button