রাজনীতি

নেতা-কর্মীদের হতাশ না হতে বললেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়া জেলে থাকুক অথবা বাইরে, তাকে প্রেরণার উৎস ধরে নেতা-কর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা হতাশ হবেন না। হতাশার কথা শুনতে চাই না। বিএনপি এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি।’

‘খালেদা জিয়া জেলে থাকুন আর বাইরে থাকুন তিনিই আমাদের প্রেরণার উৎস। তিনি আমাদের শক্তি, সাহস। অতীতেও বহুবার বিএনপি প্রতিটি সংকটে উঠে দাঁড়িয়েছে। দাঁড়িয়েছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। কারণ বিএনপি হল এদেশের জনগণের দল।’

শত নাগরিক কমিটির আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারের লেখা ‘খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।

খালেদা জিয়াকে জীবন্ত কিংবদন্তী উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি একজন সেনানায়কের স্ত্রী। তিনি হঠাৎ ক্ষমতায় বসে পড়েননি। দীর্ঘ ৯ বছর লড়াই সংগ্রাম করে জনগণকে ভালোবেসে, তাদের ভালোবাসায় রাষ্ট্র পরিচালার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে দুজন মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অপরজন হলেন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। এই সময়টা আমাদের মনে করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ঘোষণাপত্র ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু যখন স্বৈরাচার এরশাদকে সরাতে জাতীয় ঐক্যের বিষয় আসলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করার প্রেক্ষাপট তৈরি হল, তখন এটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াল। রাষ্ট্রপতি শাসিত রাষ্ট্রের ঘোষণার কারণে ঐক্য হচ্ছিল না অথবা ভেঙে যাচ্ছিল। তখন এটা ভেঙে দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের ঘোষণা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।’

‘সুতরাং মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে যা কিছু এর সব অবদান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার অবদান সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি।’

শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

Back to top button