জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত। প্রতিনিয়ত আঞ্চলিক তিনটি উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনের গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষন, চাদাবাজিতে অতিষ্ট পার্বত্য এলাকার সাধারণ মানুষ। ইঞ্জিনিয়ার-শিক্ষক, হইতে ফেরিওয়ালা, কেউ ই রেহাই পায়না উপজাতি চাদাবাজদের হাত থেকে।

চাঁদাবাজি আর আধিপাত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে গোলাগুলি এখন নিত্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা মুখে কথিত অধিকারের কথা বলে। কিন্তু অন্তরে থাকে চাঁদাবাজি, সিএইচটি আলাদা করার হিসাব।

অন্যদিকে, চুক্তি অনুসারে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করলে ও সার্বিক পরিস্তিতির কোন উন্নতি হয়নি, বরং উপজাতি সন্ত্রাসী কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চুক্তির পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহতের সংখ্য ৭৫৩জন। আহত হয়েছে ৯৩২জন, অপহরণ হয়েছে ১৩৬৫জন, গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে ১২৫১টি, নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সম্মুখ যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে ৬৭বার, জেএসএস-ইউপিডিএফ’র মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে ১৭৫বার।

চুক্তির পরে যেসব এলাকা সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, অই সমস্ত এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের পছন্দের লোকদের থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে বাঙালিদের ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ফলের বাগান ধ্বংস করে বাঙালিদের অর্থনীতিক স্বচ্চলতার কোমর ভেঙ্গে দিচ্ছে। উপজাতিদের মধ্যে দেশ প্রীতি বলে কিছুই নেই, তাদের পূর্বপুরুষদের পথ ধরে এগোচ্ছে বর্তমান প্রজম্মের উপজাতিরা। তারাও বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার সপ্ন দেখছে।

১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসের ১৫ তারিখ ইংরেজ শাসিত ভারত ভাগ হয়ে গণপ্রজাতন্ত্র ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ পায়। তখন বাংলা/বঙ্গ ভাগ হয়ে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত হয়। যার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ছিল। ১৭ আগষ্ট দিনটিতে ভারত স্বাধীনতার আনন্দ উৎসব করলেও ভারতীয় চাকমারা পরের বছর থেকে দিনটি “ব্লাক ডে” হিসেবে পালন করে এবং ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেয়। কিন্তু পার্বত্য চটগ্রামের রাঙামাটির চাকমা সার্কেল প্রধানের বাড়ির মাথায় ভারতীয় পতাকা উড়তে দেখে পাকিস্তানের বালুচ রেজিমেন্ট ভারতের পতাকা নামিয়ে দেয়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিদিব ও তার সংশ্লিষ্ট উপজাতিরা পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। কিন্তু পাকিস্তান যুদ্ধে হেরে গেলে ত্রিদিব পাকিস্তান চলে যায়, সেখানে মন্ত্রিত্ব লাভ করে। এদিকে ৭৫-৯৭ সাল পর্যন্ত সিএইচটি কে বাংলাদেশ আলাদা করতে উপজাতি সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মম ভাবে খুন করে ২৫৬ জন বীর সেনা এবং ৪০ হাজার নিরীহ বাঙালিকে। স্বাধীন দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ বহিরাগত উপজাতি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ বর্বরদের কবলে।

Back to top button