কৃষিজাতীয়দেশের সংবাদ

ফুলকপি চাষে সফল মাগুরার কৃষক

মাগুড়া সংবাদদাতা: চলতি মৌসুমে ফুলকপি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাগুরা জেলার কৃষক। প্রতিদিন ভোরে মাগুরার পাইকারি বাজারে দেখা যাচ্ছে ট্রাকভর্তি ফুলকপি। রাতেই চলে যাচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের নানা প্রান্তে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপির গুণাগুণ ভেদে মাগুরা জেলার সুনাম রয়েছে বিগত একযুগেরও বেশি সময় ধরে। এ জেলার ফুলকপি স্বাদের দিক দিয়ে এগিয়ে। তাই কদরও বেশি। এজন্য চাহিদাও রয়েছে দেশের নানা অঞ্চলে। শীতে সাধারণত মানুষের মধ্যে নিত্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপি দিয়ে রান্না তরকারি বেশ জনপ্রিয়।

সারা বছর বিভিন্ন সবজি পাওয়া গেলেও ফুলকপি বাজারে পাওয়া যায় না। এটি প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বাজারে দেখা যায়। আর এ সময়টা মাগুরার চার উপজেলায় ব্যাপক আকারে ফুলকপি বাজারে আসতে শুরু করে। ডিসেম্বরের আগেই মাগুরার নানাপ্রান্ত থেকে ফুলকপি বাজারে আসতে শুরু করেছে। মাগুরা সদর উপজেলাসহ, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে চাষ হয়েছে ফুলকপি। বিশেষ করে মাগুরা-যশোর সড়কের দুই পাশে শত শত হেক্টর জমিতে এ সবজি চাষ করা হয়েছে।

শালিখার কৃষক ওবায়দুল্লাত জানান, শীতের শুরুতে তারা খেত থেকে ফুলকপি তুলে পাইকারি বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন এবং ভালো দামও পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, শীতের সবজির চাহিদা ভালো থাকে তবে অন্য সবজির তুলনায় ফুলকপি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকে।

শালিখা উপজেলার কৃষক নিজাম মোল্লা জানান, এ বছর তিনি প্রায় ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি প্রতি বছর বড় আকারে ফুলকপি চাষ করে থাকেন। এ বছর তিনি এ পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। গত বছর ১২ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করলেও এ বছর তিনি ১৭ লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।

মাগুরা পাইকারি একতা বাজারের সভাপতি আকরাম মোল্লা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ফুলকপির সরবরাহ বেশি। গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার ফুলকপি দেশের নানা প্রান্তে বিক্রি হয়েছে। এবার কোটি টাকার ফুলকপি বিক্রি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।

Back to top button