আইন-আদালত

২০ ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল

মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হওয়া ২০টি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ১৪ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় দেন।

Image result for ওষুধ কোম্পানি
বেলা ১১টার পর থেকে হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়া শুরু করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে সোমবার রায় ঘোষণার জন্য সময় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।

লাইসেন্স বাতিল ২০টি কোম্পানি হলো- মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো কেমিক্যাল, রিড ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল ও সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল।

এ ছাড়া মানসম্মমত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ১৪টি কোম্পানি হচ্ছে ফিনিক্স কেমিক্যাল, আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যাল, বেঙ্গল ড্রাগস, ব্রিস্টল ফার্মা, ক্রিস্টাল ফার্মাসিউটিক্যাল, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএসটি ফার্মা, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যাল, রাসা ফার্মাসিউটিক্যাল, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেভ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এসব ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২০১৬ সালের ৫ জুন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়।

রিটে বলা হয়, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করতে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে।

বিশেষজ্ঞ কমিটি দেশের ৮৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন শেষে একটি প্রতিবেদন পেশ করে, যাতে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হওয়া ২০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সেই সুপারিশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় রিট দায়ের করা হয়

Back to top button