কাবা শরীফে গিয়েও তো উলুধ্বনি দেয়া হয়- প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা: মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলা নববর্ষের শুরু সেই মুঘল আমল থেকে। তখন তো আর টাকা পয়সা ছিলো না, ফলে পণ্য বিনিময় হতো। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো বিষয় নেই।এটা বরং আমাদের দেশের সংস্কৃতির প্রতিফলন। এসব নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়্যারম্যানের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর এসব কথা বলেন ।
সবাইকে পয়লা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক? কোনো সম্পর্ক নেই। এদিন অন্য কিছু খাবেন। চাইলে পান্তাভাত খাবেন, মরিচ পোড়া, বিভিন্ন ভর্তা আর ডিম ভাজা দিয়ে খাবেন। ইলিশ মাছ এদিনে কেন খেতেই হবে? দরকার হলে মরিচ পোড়া, ডিম ভাজা দিয়ে খিচুড়ি খাবেন। সেটাও তো মজার খাবার। ঘটনাচক্রে বৈশাখের সঙ্গে ইলিশ জড়িয়ে গেছে। কিন্তু ঐ মাছই খেতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। এমনিতেই তো চৈত্র মাসের দিকে মাছ কম খেতে হয়।
তিনি বলেন, এই শব্দটিতে মঙ্গল আছে বলেই যে সেটা হিন্দু শব্দ হয়ে গেলো তা নয়। তাহলে আমরা যে মঙ্গলবার বলি, সেটাও কি হিন্দুবার হয়ে গেলো? নববর্ষের দিনটিই সারাদেশের মানুষ এক হয়ে পালন করেন। ব্যবসায়ীরা হালখাতা করে। সেসবকে এত রঙচঙ দেওয়ার কি আছে? এসব বিভ্রান্তি না ছড়াতে সবাইকে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
পৃথিবীর আরো বহুদেশে নববর্ষ উদযাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শব্দের সঙ্গে ধর্মের কি সম্পর্ক? শব্দ একটি ভাষা আর ভাষা হলো সাহিত্য। ভারতে গিয়েও দেখেছি পানিকে সবাই জল না বলে পানি বলে। আরো অনেক জায়গাতেই বলে। উলুধ্বনি নাকি হিন্দু শব্দ। কিন্তু কাবা শরীফে গিয়েও তো উলুধ্বনি দেয়া হয়। আরো অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়। তাহলে কি সেটাকে হিন্দুয়ানি বলবেন?