আইন-আদালত

হাইকোর্টের আদেশে ঢাবি ভিসি প্যানেল মনোয়নে সিনেট বৈঠক স্থগিত


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্যানেল মনোয়নের জন্য আগামী ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বৈঠকের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম, ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

আদালত রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

রিটের বিবাদীরা করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.আবু আহসান মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, প্রো-ভিসি (একাডেমিক), প্রো-ভিসি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা সচিব।

জানা যায়, ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ,১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকাল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহবান করেছেন। উক্ত বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করতে হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমাতুল করিম জানান, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্ট রিট করেন।

প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। অর্থাৎ ২৯ জুলাইয়ের ডাকা সিনেট কমিটির বিশেষ সভা স্থগিত থাকবে।

Back to top button