শিক্ষা

ঢাবি উপাচার্য নির্বাচন: এবারও সাদা দলের সিনেট সভা বর্জন

Image result for dhaka university logo

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ২৫ জন নির্বাচিত গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিসহ ৫০ জন প্রতিনিধি না থাকায় ভিসি প্যানেল নির্বাচনে সিনেটের বিশেষ অধিবেশন গতবারের মত এবারও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

একইসঙ্গে শনিবারের এ সভা স্থগিত করে অবিলম্বে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনসহ সকল শূণ্য পদগুলো পুরণের পর উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আখতার হুসেন খান বলেন, ঢাবি সিনেটকে কার্যকর রাখা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু যথা সময়ে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন না দিয়ে এবং অন্যান্য পদ শূণ্য রেখে সিনেটকে অনেকাংশেই অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অসম্পূর্ণ একটি সিনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াকে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য বলে মনে করি না।

এর আগে সিনেটে আটজন শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও বর্জন করেছিল সাদা দল। এবার সিনেটে তাদের প্রতিনিধি সংখ্যা দুই জন। তবে আগেরবার সিনেট অধিবেশন চলাকালে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও এবার তাদের পক্ষ থেকে সে ধরনের কোন ঘোষণা আসেনি।

ভিসি প্যানেল নির্বাচনের জন্য ডাকা সিনেট সভা বর্জনের ঘোষণা দেয়া সাদা দল একই সংখ্যক সদস্য নিয়ে গত জুনে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, বাজেটের আগে নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় না থাকায় অধিবেশনে যোগ না দিয়ে উপায় ছিল না। কিন্তু উপাচার্য নির্বাচনের আগে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন দেয়ার সময় ছিল। কিন্তু সেটা না দিয়ে সভা আহ্বান করা হয়েছে।

‘আইনগতভাবে এ সভা আহ্বানে কোন বাধা নেই। কিন্তু আমরা নৈতিকভাবে এ সভা বর্জন করছি।’ বলেন অধ্যাপক আখতার হুসেন খান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ইস্রাফিল রতন প্রমুখ।

Back to top button