আইন-আদালত

বিচার বিভাগ অনেককে নিয়ে: আইনমন্ত্রী

Image result for court

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিচার বিভাগের একজন ডাজ নট মেক দ্য বিচার বিভাগ (একজনকে নিয়ে বিচার বিভাগ নয়)। বিচার বিভাগ অনেককে নিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য।’

আজ রোববার যশোরে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, প্রশাসন বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের একটা বিরাট যুদ্ধ চলছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের কোনো যুদ্ধ চলছে না।’ আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কল্যাণের জন্য মাননীয় প্রধান বিচারপতি কথা বলতে পারেন। তিনি হয়তো তাঁর মুখের কথা বলেছেন। যেগুলো সমস্যার সমাধানযোগ্য, নিশ্চয় সেগুলো সমাধান করা হবে।’
গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, বিচার বিভাগে যত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকবে, ততই বিচার বিভাগের জন্য মঙ্গল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ করা আছে। প্রধান বিচারপতি বিচারকদের স্বল্পতা, অবকাঠামো-স্বল্পতাসহ বিচার বিভাগের নানা দৈন্য ও দুর্দশার দিকগুলো তুলে ধরেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেন।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আইন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিধিমালা সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে নয় বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি উল্টো। এভাবে চলতে পারে না।’
নতুন বিধিমালা পর্যালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ কথা জানিয়ে চলতি সপ্তাহে বেলা দুইটার পরে যেকোনো সময় এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আলোচনায় বসতে বলেছেন আদালত। আইনমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এ আলোচনায় থাকতে পারবেন জানিয়ে আদালত আগামী রোববার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজই আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
আজ যশোরে আইনমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যখন খসড়া জমা দিয়েছিলাম, তখনই তো বলেছি, এরপরও কিছু থেকে থাকলে আলোচনা করা যাবে। এত বড় করে এজলাসে বসে বলার কিছু নেই।’
আইনমন্ত্রী সকালে বিমানে যশোরে আসেন। এরপর তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শরীফ আবদুর রাকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন যশোর-২ আসনের সাংসদ মনিরুল ইসলাম, আইনসচিব আবু সালেহ শেখ জহুরুল হক, বিচারক আমিনুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুস শহীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর।

Back to top button