আন্তর্জাতিক

তাপপ্রবাহে বছরে ইউরোপে মারা যাবে দেড় লাখ মানুষ

এই শতকের শেষে ইউরোপ জুড়ে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে প্রতি বছর মারা যাবে দেড় লাখের বেশি মানুষ। এ ধরনের দুর্যোগে এখন যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, এই সংখ্যা তার পঞ্চাশ গুণ বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য যদি কিছু করা না হয়, তাহলে ইউরোপে এরকম চরম বৈরী আবহাওয়াই দেখা যাবে।

৯৯ শতাংশ মানুষই মারা যাবে প্রচণ্ড তাপ প্রবাহের কারণে। এরকম দুর্যোগের ধকল সবচেয়ে বেশি যাবে দক্ষিণ ইউরোপের ওপর।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবেষণায় প্রাপ্ত এসব তথ্য খুবই উদ্বেগজনক। তবে অনেকে বলছেন, এই গবেষণায় যেসব অনুমান করা হয়েছে সেগুলো অনেক অতিরঞ্জিত বলে মনে হচ্ছে।

ইউরোপীয়ান কমিশন ফর জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টার এই গবেষণা চালায়। তাদের গবেষণায় বলা হচ্ছে:

চরম বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা এখন বছরে গড়ে তিন হাজার থেকে বেড়ে ২১০০ সাল নাগাদ দেড় লাখে পৌঁছাবে।

২১০০ সাল নাগাদ ইউরোপে প্রতি তিনজনের দুজন দুর্যোগের শিকার হবে। এ শতকের শুরুতে প্রতি বিশ জনে মাত্র একজন এরকম দুর্যোগের শিকার হতো।

উপকুলীয় বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়বে।

এই গবেষণায় ইউরোপের ২৮টি দেশে সাত ধরণের মারাত্মক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিবেচনায় নেয়া হয়: তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, দাবানল, খরা, বন্য, উপকুলীয় প্লাবন এবং ঝড়।

গবেষকরা ধরে নিয়েছেন যে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এ শতকের শেষ নাগাদ বিশ্বের গড় তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে।

গবেষণা রিপোর্টটি যারা লিখেছেন তাদের একজন গিওভান্নি ফরযিয়েরি বলেছেন, একুশ শতকের মানুষের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর একটি।

মাত্র গতকালই যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ ইস্যু করার পর আজ ইউরোপীয় গবেষকরা তাদের এই গবেষণার কথা জানালেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে।

বিশ্বের দুশোর বেশি দেশ জলবায়ু চুক্তিতে সই করেছে। শিল্প বিপ্লবের আগে বিশ্বের যে গড়তাপমাত্রা ছিল, তার চেয়ে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা যেন দুই ডিগ্রীর বেশি না বাড়ে, সেটাই এই চু্ক্তির লক্ষ্য। বিবিসি

Back to top button