অর্থ-বাণিজ্য

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে দায়ী আমদানিকারকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের বাজারে গত দুদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। খুচরা বাজারে ১১০ টাকার নিচে পেঁয়াজ নেই।

পেঁয়াজের দাম ঠিক কী কারণে বাড়ছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার মূলে হাত দেয়া হয়েছে। গত এক সংবাদ সুত্রে জানা যায়, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা মূলত কমিশনে ব্যবসা করেন। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছেন আমদানিকারকরা।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন বলছে, ব্যবসায়ীদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কারসাজির হোতা আমদানিকারকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হোতা আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ তালিকা পাঠানো হবে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছি। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, এখানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন বেশ কয়েকজন আমদানিকারক। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা যেহেতু কমিশনে ব্যবসা করেন, সেহেতু আমদানিকারকরা না চাইলে তাদের পক্ষে আগের দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন আমদানিকারকের তথ্য আমরা পেয়েছি। এসব আমদানিকারকের তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে খাতুনগঞ্জের আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪৮-৫০ টাকা, ভারতের পেঁয়াজ ৫১-৫৫ এবং দেশি পেঁয়াজ ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরপর বিকেলে ভারতে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার খবর খাতুনগঞ্জের বাজারে পৌঁছার পর হু হু করে বাড়তে থাকে দাম। সন্ধ্যা নাগাদ পেঁয়াজ বেচাকেনা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

এক আড়তদার বলেন, খাতুনগঞ্জের অধিকাংশ ব্যবসায়ী সরাসরি পেঁয়াজ আমদানি করেন না। পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্তও তাদের হাতে নেই। আমদানিকারকরা না চাইলে, যত দামই হোক তাদের পক্ষে পেঁয়াজ বিক্রি সম্ভব নয়।

Back to top button