শিমের স্বাস্থ্য উপকারী গুণ

শীতকালীন অন্যান্য সবজির মধ্যে শিম অন্যতম। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতে এর চাষ করা হয়। ভাজি, ভর্তা আর ঝোলে শিমের তুলনা নেই। শিমের বীজের তরকারি বা ডাল যেমন উপাদেয় তেমন সুস্বাদু। প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী শিমে পানি ৮৫ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ গ্রাম, শর্করা ৬.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম এবং আঁশজাতীয় উপাদান বিদ্যমান। পরিপক্ব শিমে পানি কম থাকে এবং কিছু উপাদান বেশি থাকে। যেমন শ্বেতসার ৬০ গ্রাম, আমিষ ২৫ গ্রাম, স্নেহ ০.৮০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম, তাপশক্তি ৩৪০ কিলোক্যালরি। শিমে থাকা এসব উপাদান আমাদের দেহের নানা উপকার করে। দেখে নিতে পারেন শিমের স্বাস্থ্য উপকারী গুণ সম্পর্কে।
– শিমে পাওয়া যায় ভিটামিন এ, যা চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ রাখতে সহায়ক। শুধু তাই নয়, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে।
– শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
– শিম একদিকে পুষ্টি জোগায়, অন্যদিকে কোলেস্টেরল কমায়।
– শিমে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনাকে বাঁচাবে। এছাড়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
– শিমের খাদ্যআঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপযোগী।
– গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিম খুবই উপকারী সবজি।
– শিমে থাকা খনিজ পদার্থ চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। শীতের শুষ্কতায় চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
– নিয়মিত শিম খেলে ত্বকের রোগবালায় দূরে থাকে।
– শিমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং আয়রন রয়েছে।
– শিম থেকে প্রাপ্ত ফাইবার একাধারে ওজন কমায়, শক্তি জোগায় ও ক্রনিক রোগ দূর করে।
– শিম থেকে পাওয়া ভিটামিন ‘বি’ হার্টের রোগ কমায়, ক্যানসার ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।