বার্ধক্য রোধে শাকসবজি


বিজ্ঞানীরা ভিটামিন এ, সি এবং ই- এই তিনটি ভিটামিনকে চিহ্নিত করেছেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে। এরা শরীরের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে। ফলে সারা বিশ্বের মানুষ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। কারণ বুড়ো হতে কে চায়? বয়সের সাথে সাথে তারুণ্যকে ধরে রাখার তীব্র আগ্রহ মানুষের চিরন্তন। এটাকেই কাজে লাগাচ্ছে সব ওষুধ কোম্পানি। তারা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাপ্লিমেন্ট ট্যাবলেট তৈরি করে মানুষকে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে চড়া দামে বিক্রি করছে। অথচ আমাদের চিরচেনা অনেক সবজির ভেতরেই এই গুণটি আছে, যা আমরা অনেকেই জানি না।
আসুন আমরা জেনে নিই কী কী সেই শাকসবজি, যাতে আছে বার্ধক্য রোধক অসাধারণ গুণ।
ভিটামিন এ : ভিটামিন এ পাবেন পালংশাক, নটেশাক, কলমিশাক, গাজর, টমেটো, বাঁধাকপি, ডুমুর আর উচ্ছের ভেতর। এরা দেহ বৃদ্ধিকারক ও চক্ষুরোগ প্রতিষেধকও বটে।
ভিটামিন সি : সজনেশাক, কলমিশাক, সজনে, ডুমুর, বাঁধাকপি ও লাউ। এ ছাড়া সব টকজাতীয় ফলে তো আছেই।
ভিটামিন ই : ভিটামিন ই আছে লেটুস শাকে।
অতএব, প্রতিদিন আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় উপরি উক্ত শাকসবজি রাখতে ভুলবেন না যেন। তবে এখানে একটি কথা, এসব শাকসবজি থেকে আপনি যদি পুরোপুরি পুষ্টিগুণ পেতে চান তবে যতটা পারুন কাঁচা খাবার অভ্যাস করুন। সবচেয়ে ভালো হয় সালাদ তৈরি করে খেতে পারলে। আর যদি রান্না করেন, তবে স্বল্প আঁচে, স্বল্প পানি দিয়ে রান্না করে খাবেন। কাটার পর আর ধুতে যাবেন না। অতএব, বেশি বেশি এসব সবজি খান আর নিজের তারুণ্যকে ধরে রাখুন আমরণ।