অটোমোবাইল

প্রধানম্ত্রীর বিমানে ত্রুটি তদন্তে এনএসআই

সুবহেসাদিক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
বহনকারী উড়োজাহাজে গোলযোগ
তদন্তে মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত
কমিটিতে জাতীয় গোয়েন্দা
সংস্থাকেও যুক্ত করা হয়েছে।
হাঙ্গেরিগামী বিমানের ওই
উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের
ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে হওয়ার
পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তাও
তদন্ত করা হচ্ছে বলে বিমানমন্ত্রী
বলার পরদিন এই পদক্ষেপ নেওয়া হল।
এই ঘটনার তদন্তে বেসামরিক বিমান
পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠিত চার
সদস্যের তদন্ত কমিটিতে এনএসআই
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
জিয়াউল আহসানকে অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা
মাহবুবুর রহমান তুহিন।
সেনা কর্মকর্তা জিয়া বেশ কয়েক বছর
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের
দায়িত্বে ছিলেন। এরপর তিনি
এনএসআইতে যোগ দেন।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বিমানের
জরুরি অবতরণের পরদিনই মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকারকে
প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা
দেওয়ার সময় সাত কার্যদিবস বাড়ানো
হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রণালয়ের
জনসংযোগ কর্মকর্তা তুহিন।
এই ঘটনার তদন্তে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান
চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দুটি তদন্ত
কমিটি গঠন করে। তারা ইতোমধ্যে
প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে
ইতোমধ্যে বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে
বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন
জানান, বিমানটির লুব্রিক্যান্ট অয়েল
সঞ্চালন পাইপের একটি নাট ঢিলা
থাকার কথা বলা হয়, যার জন্য প্রধানত
রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্টদের
গাফিলতিই দায়ী।
তিনি রোববার সংসদে বলেন, “বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী
প্রতীয়মান হয়েছে যে, এ ক্ষেত্রে
তৃতীয় অর্থাৎ হিউম্যান ফ্যাক্টরটি
বিমানের বর্ণিত ফ্লাইটের ত্রুটির জন্য
দায়ী। তবে ইহা দায়িত্বে
নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের অবহেলা,
না কি নাশকতা, তা নিরাপত্তা
সংশ্লিষ্ট এজেন্সি খতিয়ে দেখছে।”
উড়োজাহাজের এই ‘বি’ নাটটি ঢিলা
(লাল পাইপের) পাওয়া গিয়েছিল;
পাশের অয়েল সেন্সর লাইনে (কালো
পাইপ) কাজ হয়েছিল তার কয়েক দিন
আগে
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,
সেদিন উড়োজাহাজটিতে
জ্বালানি বা ফুয়েলের কোনো
সমস্যা ছিল না, ইঞ্জিন অয়েল বা
লুব্রিক্যান্টের ট্যাংকের একটি নাট
ঢিলা হয়ে গিয়েছিল।
কয়েকদিন আগে বোয়িং ৭৭৭
উড়োজাহাজটির লুব্রিক্যান্ট
ট্যাংকের পাশের অয়েল-অয়েল হিট
এক্সচেইঞ্জার বা অয়েল প্রেসার
সেন্সরে ‘ছোটখাটো একটি কাজ’ করা
হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

“সেখানে যারা কাজ করেছেন
তারা ‘ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়’ কিংবা
‘প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে’ ওই নাটটি
ধরেছিলেন বা লুজ করেছিলেন
সেটি পরে ঠিক করা হয়েছে কি না,
দায়িত্বশীল কোনো ইঞ্জিনিয়ার
তা দেখেননি, যদিও সেটি তার
দায়িত্ব ছিল” বলেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button