আন্তর্জাতিক

নারীর আত্নমর্যাদার পুনর্জাগরণ: বসনিয়ায় হিযাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে নারীদের প্রতিবাদ

‘হিজাব আমার অধিকার’-বাস্তবেই এই স্লোগান ছিল নারী অধিকার এবং নারী জাগরণের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। কিছু কুচক্রীরা নানা ভাবে আইন করে, নারী মুক্তি ও সমতার নামে হিযাব নিষিদ্ধ করে নারীকে করে রেখেছিল ভোগ্যপণ্য সামগ্রীতে। যেই সামগ্র্রী যত মূল্যবান সেই সামগ্রী তত সুরক্ষিত। কিন্তু নারীর মর্যাদাকে অস্বীকারকারী এবং নারীকে শুধু যৌন চাহিদা মেটানোর ভোগ্য পণ্য হিসাবে দেখা কমিউনিস্ট দর্শন এবং কমিউনিস্ট আমলের এই কাল আইনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে বসনীয় হাজার হাজার নারী।

বসনিয়ায় আদালত ও অন্যান্য আইনি প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ২ হাজার নারী। রোববার রাজধানী সারায়েভোতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
নব্বই দশকে কমিউনিস্ট শাসনামলে বসনিয়ায় হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তী সময়ে সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে পৃথক হওয়ার পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
সম্প্রতি দেশটিতে নতুন করে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বসনিয়ার জুডিশিয়াল কাউন্সিল সমস্ত বিচারিক প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্নসূচক যেকোনো ধরনের পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
রোববার জুডিশিয়াল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজধানী সারায়েভোতে বিক্ষোভে নামে প্রায় দুই হাজার নারী। ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ চলাকালে নারীরা ‘হিজাব আমার অধিকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিক্ষোভের আয়োজক সামিরা জুনিক ভেলজিক বলেন, হিজাব নিষিদ্ধকরণ মুসলমানদের সম্মান, ব্যক্তিত্ব ও পরিচয়ের ওপর গুরুতর আঘাত। মুসলমান নারীদের কাজ করার যে অধিকার, তা কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়েছে।
বসনিয়ার ৩৮ লাখ জনগণের ৪০ শতাংশ মুসলমান। বাকিরা অর্থডক্স অথবা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button