দেশের সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও আদালত অবমাননার শামিল

চাকুরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও আদালত অবমাননার শামিল। কারণ, এ ব্যাপারে করা রিট আবেদন সম্প্রতি উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে আন্দোলনের কোন নৈতিক ও আইনি অধিকার কারো নেই।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন এ কথা বলে।

সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন ও দপ্তর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখে সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শহীদ সাংসদ নূরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর ও আকবর হোসেন মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক রসিম উদ্দিন ও নাজমা আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রশিদ মন্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সরকার।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেছে, সাধারণ ছাত্রদের কাঁধে ভর করে জামাত-শিবির চক্র ঐতিহাসিক মার্চ মাসে রাজধানীর রাজপথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে যে নারকীয় তা-ব চালিয়েছে তা কোন সভ্য মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- করার পূর্ব অভিজ্ঞতা শুধু শিবির ক্যাডারদেরই রয়েছে।

তারা বলেছে, অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুন্ঠিত করার দৃষ্টতা দেখানোর সাহস না পায়।

তারা আরো বলেছে, কোন মহলের ইন্ধনে বা গুটি কয়েক লোকের অযৌক্তিক দাবির মুখে চাকুরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দিলে সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা কোনভাবেই তা মেনে নেবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেছে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন মধ্যম আয়ে উন্নীত হতে যাচ্ছে, দেশে যখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, তখন আন্দোলনের নামে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা। তাদের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে আমরা মনে করি। একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে।

তারা বলেছে, এই কোটা কারো দয়ার দানে প্রাপ্ত নয়। এটি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাংবিধানিক অধিকার। কোটা নিয়ে কোন ধরনের কুট চালাকি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বরদাস্ত করবে না। শাহবাগে কিছু সংখ্যক জামায়াত-শিবির মার্কা লোকের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দিলে সারা বাংলার লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাস্তায় নেমে আসবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা।

Back to top button