দেশের সংবাদ

মাদারীপুরে শিক্ষকের লাঠিপেটায় স্কুলছাত্র আহত

Image result for আহত

মাদারীপুরে ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফয়েজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ফয়েজুর রহমানের কাছে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শহরতলীর পাকদী এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে আবু নাইম প্রাইভেট পড়ে।

মঙ্গলবার প্রাইভেট পড়ার সময় ওই ছাত্র পড়া না পারায় বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে আহত করে। এতে ছাত্র আবু নাইমের শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে দাগ এবং বাম হাতে রক্ত জমাট বাধে। ঘটনাটি ভয়ে ওই ছাত্র প্রথমে পরিবারের কাউকে জানায়নি।

ঘটনার পরের দিন বুধবার রাতে ওই ছাত্রের জ্বর হয়। পরে জ্বর বেড়ে গেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে মারধরের ঘটনাটি পরিবারের সবাইকে জানায়। ঘটনাটি ছাত্রের পরিবারের লোকজন ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের জানালে এ নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে ছাত্র আবু নাইম বলে, আমি পড়া না পারায় স্যার আমাকে কঞ্চি (বাঁশের লাঠি) দিয়ে পিটায়। আমি কান্না করার পরও স্যার থামেননি। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হয়েছে। আমি প্রথমে ভয়ে বাড়িতে কিছুই বলিনি। কিন্তু এখন দেখি আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমরা লেখাপড়া করতে কষ্ট হচ্ছে। জ্বর এসেছে, তাই বাবা-মাকে জানিয়েছি।

আহত ছাত্র আবু নাঈমের মামা মো. আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, স্কুলে পড়াশুনা ঠিক মতো হয় না। তাই বাধ্য হয়েই প্রাইভেট পড়াতে দিতে হয়। তাছাড়া আমার ভাগ্নাকে ১৫০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়াই। সেখানে ওই স্যার ৩০ জন করে এক ব্যাচে পড়ায়। পড়া না পারায় তাকে শাসন করতেই পারে। তাই বলে সারা শরীরে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পশুর মতো পিটিয়েছে। আমি তার আইনগত বিচার চাই।

নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ফয়েজুর রহমান স্যার দিনে ৪/৫ টি ব্যাচ করে বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়িতে বসে প্রাইভেট পড়ায়। প্রতিব্যাচে প্রায় ৩০ জন ছাত্র থাকে। তাই তার মেজাজ সব সময় উগ্র থাকে। সেই প্রায় ছাত্রদের পিটায়। সরকারি স্কুলের শিক্ষক, তাছাড়া না পড়ালে নম্বরও ঠিকমত দেয় না। তাই অভিভাবকরা ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেকেই মুখ খোলে না বলে একাধিক অভিযোগ আছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে ওই শিক্ষক ছুটিতে আছেন। আমি দু’পক্ষের কথা শুনে দেখি কি করা যায়। আর ওই শিক্ষকতো আমাদের স্কুলে বসে পড়ায় না। সে প্রাইভেট পড়ায় বাসায় বসে। তবুও আমি ব্যাপারটি গুরত্ব সহকারে দেখবো।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবার থেকে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়েজুর রহমানের কাছে ফোনে জানতে চাইলে সে এই ব্যাপারে পড়ে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।

Back to top button