দেশের সংবাদ

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

Image result for যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বেশ কিছু পণ্যে আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন। আবার কিছু কিছু পণ্য ও সেবাকে ভ্যাটের আওতামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্য ও সেবা গ্রহণে জনগণকে আগের তুলনায় কম খরচ করতে হতে পারে।

হাইব্রিড মোটর গাড়ি : গত অর্থবছরে হাইব্রিড মোটর গাড়ির উচ্চমূল্য বিবেচনায় এর উপর শুল্ক হার কমানো হয়। ফলে হাইব্রিড মোটর গাড়ির আমদানি বেড়েছে। পরিবেশ দূষণ এবং জ্বালানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য হাইব্রিড মোটর গাড়ির আমদানি উৎসাহিত করার জন্য নিম্ন সিসির হাইব্রিড মোটর গাড়ি (১৬০০ হতে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত) আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এ পর্যায়ের গাড়ির দাম কমার আশা করছেন সংশ্নিষ্টরা।

ক্যান্সার ও কিডনি জাতীয় রোগের প্রতিষেধক : ক্যান্সার ও কিডনির মত ব্যয়বহুল রোগের খরচ কমাতে উদ্যোগ রয়েছে এবারের বাজেটে। এজন্য ক্যান্সার ও কিডনি জাতীয় রোগের প্রতিষেধক ইরিথ্রোপোয়েটিন আমদানি পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এ জাতীয় ওষুধের দাম কমবে। দেশে সম্প্রতি এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

পাউরুটি, বনরুটি, বিস্কুট : অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের হালকা খাবারের দাম কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন। তিনি প্রতি কেজি ১০০ টাকা দামের পাউরুটি, বনরুটি ও হাতে তৈরি বিস্কুট এবং ১৫০ টাকা কেজির কেকের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করেছেন মুহিত।

প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পল : দরিদ্র জনগণের ব্যবহার্য আরেকটি পণ্য প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পলের দাম কমানোর চেষ্টা রয়েছে এবারের বাজেটে। ১৫০ টাকা দামের চপ্পলের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

গো খাদ্য : দেশে প্রাণিসম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে গো খাদ্যের কাজে ব্যবহূত ভুট্টা (মিলেট) আমদানিতে ভ্যাট অব্যহতির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত মোবাইল : তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ আরও দ্রুত করতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত মোবাইল ফোন সেটকে ভ্যাট ও সারচার্জ অব্যহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এজন্য তিনি আলাদা একটি প্রজ্ঞাপন জারিরও প্রস্তাব করেছেন। পাশাপাশি আমদানি ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত মোটরসাইকেল : বিদেশী মোটর সাইকেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে তোলার জন্য মোটর সাইকেল উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

আমদানি করা মোড়কজাত মধু, চুইংগাম ও চকলেট : স্থানীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আমদানি করা মোড়কজাত মধু, চকলেট, চুইংগাম, বাদাম, সিরিযাল, ওটস ইত্যাদিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় কোম্পানি ডাবরের মধু আমদানি করে সরাসরি বিক্রি করে অনেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া শিশুদের প্রিয় অনেক ধরনের চকলেট আমদানি করে বিক্রি করছেন অনেকে।

রড : নির্মাণের অন্যতম উপকরণ রডের দাম কমাতে এর কাঁচামাল ফেলো অ্যালয়ের রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

গুড়ো দুধ : নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে গুঁড়ো দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের কাঁচামাল মিল্ক পাউডার আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছেন মুহিত।

বল পয়েন্ট কলম : বল পয়েন্ট কলমের কালি আমদানিতে শুল্ক শুন্য করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। আগে সকলের প্রয়োজনীয় এ পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল।

স্থানীয় কারখানায় উৎপাদিত ফ্রিজ : ফ্রিজ উৎপাদনের স্থানীয় কারখানাকে সুরক্ষা দিতে এ খাতের উপকরণ রেফ্রিজারেন্ট দাম কমবে।

স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ব্যবহৃত আমদানি করা বাস : ঢাকা শহরে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য অধিকাংশ স্কুলেই কোনো স্কুলবাস নেই। তাই অভিভাবকরা নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে তাদের সন্তানদের স্কুলে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাধ্য হচ্ছে, যা ঢাকা মহানগরীতে যানজট সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। স্কুলবাস চালু করা হলে যানজট নিরসনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। এজন্য তিনি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি স্কুল বাস সার্ভিস চালুর আগ্রহ দেখালে তা যথাযথ বিবেচনায় বিশেষ শুল্ক সুবিধায় আমদানির সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টায়ার টিউব : টায়ার টিউব উৎপাদন শিল্পের কাঁচামাল প্যারাফিন ওয়াপ এবং ফেনোলিন রেজিন। এই দুটো কাঁচামাল আমদানি ৫ ও ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে টায়ার ও টিউব উৎপাদন খরচ কমে দাম কমতে পারে।

Back to top button