জাতীয়

ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবদের আইনের আওতায় আনার দাবি

29

ঢাকা: ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব দাবি জানান এমপিরা।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, রাজনীতিবিদের ওপর মানুষের আর আগের মতো শ্রদ্ধাবোধ নেই। কারণ রাজনীতিবিদদের চরিত্র ধ্বংস করার জন্য এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও সংবাদপত্র উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের বিরুদ্ধে অহরহ লিখে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের জানা উচিত, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তখন এরা কোথায় ছিলেন। আজকে গুলশান-বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা ও বারিধারায় যত বড় বড় বাড়ি আছে তার কয়টা রাজনীতিবিদদের।

তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা হয়েছিলো। যারা সেই অপচেষ্ঠায় লিপ্ত ছিলো তাদের বিচার হয় নি। যে সমস্ত সংবাদপত্র সেদিন প্রত্যেক রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করেছিলো তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

একজন সরকারি কর্মচারীও নির্দিষ্ট সময়ের পর অবসরে চলে যান। সবসময় ঝুকিপূর্র্ণ কাজের মধ্যে থাকতে হয় রাজনীতিবিদদের। রাজনীতি একটি নেশা। একবার জনগণের সঙ্গে মিলে গেলে এখান থেকে আর কেউ বের হতে পারে না। যোগ করেন তিনি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ড. ইউনূস ও মাহফুজ আনাম সাহেবরা গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে অসাংবিধানিক শাসন রচনা করার করতে চেয়েছিলেন এবং তারা সেটা করতেও পেরেছিলেন। এই মাহফুজ আনামরা মিথ্যা, অসত্য ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২২ ফেব্রুয়ারির আলোচনায় সভায় তার সহপাঠী মাহফুজ আনাম সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছিলেন। যিনি তার শিক্ষাজীবন শেষ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। যারা শিক্ষাজীবন শেষ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় এভাবে পালিয়ে যায় তারা কতটুকু দেশপ্রেমিক-স্বাধীনতা প্রেমিক সেই প্রশ্ন থেকেই যায় আমাদের এই প্রজেম্মের কাছে।

পঙ্কজ দেবনাথ আরও বলেন, মাহফুজ আনাম ও ড. ইউনূস সাহেবরা এখন পর্যন্ত একদিনের জন্য সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি। এর আগে জামায়াত এতো সন্ত্রাস করল, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাস করলো তখন ইউনূস সাহেব একটি কথাও বলেননি। একটি বিবৃতিও দেননি।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে আলোচনায় আরও অংশ নেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলাম, খন্দকার আজিজুল হক আরজু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button